বিজবেহারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। ছবি: এপি।
দক্ষিণ কাশ্মীরে আজ ভিন্ রাজ্য থেকে আসা এক শ্রমিক এবং এক ফল ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। গুরুতর জখম হয়েছেন আর এক ফল ব্যবসায়ী। এ নিয়ে ৩ দিনে জঙ্গিদের গুলিতে খুন হলেন ভিন্ রাজ্য থেকে আসা দু’জন। সোমবার শোপিয়ানের শিরমলে খুন হন রাজস্থান থেকে আসা ট্রাকচালক মহম্মদ শরিফ খান।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে পুলওয়ামায় কাকপোরা স্টেশনের কাছে হাঁটছিলেন ছত্তীসগঢ় থেকে আসা দুই শ্রমিক শেঠিকুমার সাগর ও সুনীলকুমার সাগর। হঠাৎই শেঠিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সন্ধ্যায় শোপিয়ানের ট্রেনজ় এলাকায় পঞ্জাব থেকে আসা ফল ব্যবসায়ী চরণজিৎ সিংহ ও সঞ্জীব কুমারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। পুলওয়ামার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চরণজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। সঞ্জীবের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জঙ্গিরা পর পর অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষকে নিশানা করায় দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। গোয়েন্দাদের মতে, পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয় তা প্রমাণ করতে এই হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে জঙ্গিরা।
আজ অনন্তনাগের বিজবেহারায় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, পাজ়িপোরা গ্রামে জঙ্গিদের গতিবিধির খবর পেয়ে আজ ভোরে অভিযানে নামে বাহিনী। তল্লাশির সময়ে জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে নাসির গুলজ়ার, ওয়াহিদ হোসেন লোন ও আকিব হাজ়াম নামে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সংঘর্ষের সময়ে অনন্তনাগ ও বিজবেহারা শহরে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তা-ও বাহিনী-জনতা সংঘর্ষ এড়ানো যায়নি। তবে তাতে হতাহতের খবর নেই।
এরই মধ্যে আজ শ্রীনগরে প্রশাসনের তৈরি মিডিয়া সেন্টারে স্তব্ধ হয় ইন্টারনেট। ফলে খবর পাঠাতে পারেননি অনেক সাংবাদিক। সোমবার কাশ্মীরে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু কাল শ্রীনগরে মহিলাদের বিক্ষোভের ফলে এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।