ছবি: সংগৃহীত।
সাংবাদিক ‘হেনস্থার’ দায়ে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার পরে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল স্পাইসজেট, গো এয়ার-ও। বিষয়টি তাদের নিজস্ব কমিটি খতিয়ে দেখছে বলে আজ জানাল উড়ান সংস্থা ভিস্তারা এবং এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া। ওই সাংবাদিককে অনেকেই ‘বিজেপি-ভক্ত’ বলে মনে করেন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কোনও রকম তদন্ত কমিটি না-গড়েই কুণালকে রাতারাতি বয়কট করছে উড়ান সংস্থাগুলি। বিমান প্রতিমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরিও কুণালের আচরণকে ‘চূড়ান্ত অপ্রীতিকর’ বলে টুইট করেন আজ।
কুণাল তবু অনড়ই। আজ স্পাইসজেট তাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণার পরেই টুইট-খোঁচা এল কুণালের, ‘‘মোদীজি, আমি কি হাঁটতে পারি? নাকি সেটাও নিষিদ্ধ!’’ তাঁর দাবি, বিমানে তিনি শুধু ওই সাংবাদিকের জবাব চেয়েছিলেন। কাল কুণালেরই পোস্ট করা ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা গিয়েছিল, ওই সাংবাদিকের গলা নকল করে কুণাল বারবার বলছেন, ‘‘আপনি সাংবাদিক, না কাপুরুষ? নেশন ওয়ান্টস টু নো!’’
ওই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দ্বিধাবিভক্ত নেট-দুনিয়া। একটা অংশ বলছেন, ‘এটা অভব্যতাই।’ দ্বিতীয় অংশের দাবি, কুণালকে বয়কট করার অর্থ বাক্-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কুণালও আজ পর-পর টুইট করে বলেন, ‘‘আমি তো কোনও যাত্রীর নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটায়নি। তা ছাড়া, ইন্ডিগোর বিমানে যা-ই হয়ে থাক, অন্য সংস্থাও কিসের ভিত্তিতে আমায় নিষিদ্ধ করছে?’’
আরও পড়ুন: বয়কট করল উড়ান সংস্থা, কুণালের প্রশ্ন, ‘আমি কি হাঁটতে পারি মোদীজি’
কুণালের এই ‘হেনস্থা’ প্রসঙ্গে অনেকে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিমানে ‘অভব্যতার’ কথাও বলছেন। প্রজ্ঞার জন্য সে দিন ৪৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছিল দিল্লি-ভোপালের স্পাইসজেট বিমান। অথচ প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তা হলে কুণাল কেন নিশানায়— প্রশ্ন উঠছে। ডিজিসিএ-র অবশ্য দাবি, কুণালের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে নিয়ম মেনেই।
রাহুল গাঁধী অবশ্য একহাত নিলেন সাংবাদিককেই। তাঁর টুইট, ‘‘কাপুরুষের মতো সরকারের উপর প্রভাব খাটিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো আসলে নিজের সমালোচকের মুখ বন্ধ করা। দিনরাত যারা ক্যামেরা নিয়ে সরকারের প্রচার করে, তাদের নিজেদেরও ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার মতো মেরুদণ্ড থাকা উচিত।’’