গুজরাতের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী কুমার কানানি।—ছবি সংগৃহীত।
করোনার জেরে রাত ১০টার পরে কার্ফু জারি হয়েছে বিজেপিশাসিত গুজরাতে। তবে নিয়মের তোয়াক্কা না-করেই ৮ জুলাই সবান্ধব রাস্তায় বেরিয়েছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী কুমার কানানির ছেলে প্রকাশ। সুরতের মেঘনাদ চকে মন্ত্রী-পুত্রের রাস্তা আটকান গুজরাত পুলিশের মহিলা কনস্টেবল সুনীতা যাদব। মুখে মাস্কও ছিল না প্রকাশের। দু’পক্ষের বচসা বাধে। অভিযোগ, সুনীতাকে হুমকি দেওয়া হয়, তাঁকে ৩৬৫ দিন দাঁড় করিয়ে রাখা হবে। পাল্টা সুনীতা বলেন, ‘আপনার বা আপনার বাবার চাকর নই’।
ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। সুনীতাকে পুলিশের সদর দফতরে বদলি করা হয়। সুরতের পুলিশ কমিশনার এসিপি-র নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেন। কাল সুনীতাকে সুরত পুলিশের সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। সে দিনের ঘটনা সবিস্তার জানান ওই মহিলা কনস্টেবল। তার পরেই ‘সিক লিভে’ যান তিনি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে বিধিভঙ্গ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয় প্রকাশ ও তাঁর বন্ধুদের। পরে জামিনও পেয়ে যান তাঁরা।
অভিযুক্ত প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনার ভিডিয়ো থেকেই মানুষ বুঝতে পারবেন কী ভাষায় তিনি কথা বলেছেন। তাঁর বাবা কুমার জানান, করোনা-আক্রান্ত শ্বশুরমশাইকে দেখতে যাচ্ছিলেন প্রকাশ। মন্ত্রী বলেন, ‘‘ফোনে সুনীতা যাদবের সঙ্গে কথা হয়। তাঁকে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু তিনি যেন অবমাননাকর মন্তব্য না-করেন, তা-ও জানাই।’’ তাঁর অভিযোগ, সাধারণ পোশাকে থাকা এক পুলিশ গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন এবং অবমাননাকর মন্তব্যগুলি মুছে চারটি ভাগে অডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়।