প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবিঃ পিটিআই।
পাঠ্যপুস্তকে বদল নিয়ে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ বারবার তুলছেন বিরোধীরা এবং শিক্ষক সমাজের বড় অংশ। ২০১৪ সালের পর এনসিইআরটি-র দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক চার বার বদলানো হয়েছে। সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তকে বাবরি মসজিদকে ‘তিন গম্বুজের সৌধ’ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও গৈরিকীকরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর আজ বিহারের রাজগীরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী জ্ঞান এবং শিক্ষার ধারাবাহিক প্রবাহের কথা উল্লেখ করলেন। তাঁর কথায়, ‘আগুনে বই পুড়ে যেতে পারে, কিন্তু জ্ঞানকে পোড়ানো যায় না।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বার শপথগ্রহণের পর এটাই প্রথম বিহার সফর মোদীর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তব্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভারতের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। দেশের সম্মান, পরিচয়, মূল্যবোধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। তাঁর কথায়, ‘‘তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। নালন্দা কোনও নাম নয়, এটা একটা পরিচয়। আগুন বইকে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু জ্ঞান ধ্বংস করতে পারে না।’’ নালন্দা ভারতের সৌভ্রাতৃত্বের মন্ত্র ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আত্মা বলে মন্তব্য করেছেন মোদী।
নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধনের আগে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন মোদী। ২০১৬ সালে ওই ধ্বংসাবশেষকে
‘হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকর, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং নালন্দার আচার্য অরবিন্দ পানাগড়িয়া। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনেই, চিন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া-সহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধিও ছিলেন।