লোয়ার বার্থের চাহিদা অনেক। প্রতীকী ছবি
ট্রেনের থ্রি-টিয়ার কিংবা টু-টিয়ার যে কোনও বগিতেই লোয়ার বার্থ পাওয়ার চাহিদা থাকে যাত্রীদের। বিশেষ করে প্রবীণ যাত্রীদের বেশি পছন্দ লোয়ার বার্থ। সমস্যা হয় একসঙ্গে একাধিক টিকিট কাটলে সব প্রবীণের জন্য লোয়ার বার্থ পাওয়া। কিন্তু কী কারণে সেটা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না তা জানিয়েছে আইআরসিটিসি। আর তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে কী করলে সেই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব।
আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়েই প্রবীণদের জন্য কোটার সুযোগ নেওয়া যায়। কিন্তু সেই নিয়ম অনেকেরই অজানা। সেই অজানা পদ্ধতি জানতে সম্প্রতি এক ব্যক্তি টুইট করে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে ট্যাগ করেন। ওই ব্যক্তি তিন জন প্রবীণ নাগরিকের জন্য টিকিট কেটেছিলেন। একটি লোয়ার বার্থ পেলেও বাকি দু’টি পান আপার ও মিডল। এই ব্যবস্থা যাতে বদল করা হয় সেই দাবিও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে জবাব দিয়ে টুইট করেছেন আইআরসিটিসিকর্তৃপক্ষ।
সংস্থার পক্ষে জানানো হয়, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত লোয়ার বার্থ পাওয়া যায় পুরুষদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬০ বছর ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর হলেই। তবে একসঙ্গে তিনজনের টিকিট কাটলে সব লোয়ার বার্থ পাওয়া যায় না। এটা সম্ভব একজন বা দু’জনের জন্য একত্রে টিকিট কাটলে। অনলাইনে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে একসঙ্গে দু’জনের বেশি প্রবীণ নাগরিকের টিকিট কাটলে লোয়ার বার্থ নিশ্চিত করা সম্ভবই নয়। আবার একসঙ্গে অনেকের টিকিট হলে তার মধ্যে থাকা একমাত্র প্রবীণের জন্যও লোয়ার বার্থ পাওয়া নিশ্চিত করা যায় না। অর্থাৎ, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত লোয়ার বার্থ পাওয়ার কোটার সুযোগ নিতে হলে তাঁদের টিকিট আলাদা করেই কাটতে হবে। ওই কোটার সুবিধা পাওয়ার জন্য সর্বধিক দু’জন প্রবীণের টিকিট কাটা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত কোভিড পরিস্থিতিতে রেল চাইছে না প্রবীণরা খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ট্রেনে চাপুন। এই কারণে করোনা সংক্রমণের পরপরই টিকিটে প্রবীণদের জন্য ট্রেনের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া বন্ধ করা হয়। এখনও তা বন্ধ রয়েছে।