ছবি পিটিআই।
নতুন কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলন ক্রমশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে দেখে এ বার নিজেদের কৃষক সংগঠনকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিজেপি এবং আরএসএস যৌথ ভাবে তাদের কৃষক শাখাকে দিয়ে গ্রামে গ্রামে কিসান চৌপল (খোলা বৈঠক) এবং আরও কিছু কার্যকলাপ শুরু করবে আগামী সপ্তাহ থেকে। কৃষকের উদ্বেগ কাটানো এবং নতুন আইনগুলি থেকে তারা কী ভাবে লাভবান হবে সেই প্রচারই করা হবে ওই সব কর্মসূচিতে।
সঙ্ঘের ‘কিসান মোর্চা’ মূলত গ্রামগুলিতে বৈঠক করবে। আরএসএস-এর কৃষক শাখা ‘ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ’ তাদের সমস্ত ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে শস্য সংরক্ষণ, বিক্রি এবং টাকা আদায়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে, তাঁদের সাহায্য করতে। বিজেপির কিসান মোর্চার সভাপতি এবং দলের সাংসদ রাজকুমার ছাহার জানিয়েছেন, “আমরা শুধু অপেক্ষা করছি কৃষক প্রতিনিধি এবং সরকারের মধ্যে আলোচনা যাতে শেষ পর্যন্ত লাভজনক হয়, তার জন্য। এর পরে প্রত্যেকটি গ্রামে গিয়ে বৈঠক করব। দলের অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধিরা কৃষকদের বোঝাবেন। এই আইনগুলি নিয়ে তাঁদের যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা নিরসনের চেষ্টা হবে। এটা স্পষ্ট করতে হবে যে বিরোধীরা যেটা করছে সেটা নিছক রাজনীতি।”
স্বাধীনতা পূর্বের জাঠ কৃষক নেতা ছোটু রামের প্রবচন ও বাণী তুলে ধরা হবে কৃষকদের সামনে এমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে। মোর্চা সূত্রের বক্তব্য, প্রত্যেক কৃষকের উচিত কে বন্ধু আর কে শত্রু, তা চিনে নেওয়া। এই বিলগুলি সংসদে আনার সময়ও এক মাস ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালিয়েছিল কিসান মোর্চা। রাজকুমারের কথায়, “মান্ডি যদি কৃষকদের এতটাই উপকার করত, তা হলে গত ষাট বছরে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটত না। আমরা কৃষকদের বলব সমস্যার কথা আমাদের সরাসরি লিখতে। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”