প্রাক্তন ছাত্রনেতা কীর্তিকমল বরা৷ ছবি: সংগৃহীত।
নগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে জখম হলেন প্রাক্তন ছাত্রনেতা কীর্তিকমল বরা৷ গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন৷
এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তদন্তের জন্য এক সদস্যের কমিশন গঠন করেছেন৷ অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পবনকুমার বরঠাকুরকে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷ পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মাদক বিরোধী অভিযানের সময় কীর্তি তল্লাশি এড়িয়ে যেতে তাদের উপরে হামলা চালান৷ বাধ্য হয়েই কর্তব্যরত পুলিশ তাঁর পায়ে গুলি করে৷
শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ নগাঁও মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কীর্তিকমলের পরিবারের সদস্যেরা অভিযোগ করেন, তাঁর কোনও দোষ ছিল না৷ নগাঁওয়ে পুলিশ দুই যুবককে বেধড়ক পেটাচ্ছিল৷ ওই পথেই অসুস্থ মায়ের ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন কীর্তি৷ তিনি তখন এমন মারপিটের কারণ জানতে চেয়েছিলেন পুলিশের কাছে৷ পুলিশ তাঁর উপরেই চড়াও হয়৷ শুরু করে মারধর৷ পরে এক পুলিশকর্মী খুব কাছ থেকে তাঁর ডান পায়ে এক রাউন্ড গুলি চালায়৷
দাবি করা হয়েছে, খবর পেয়ে তাঁর পরিচিত জনেরাই ছুটে যান৷ তাঁকে প্রথমে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে ও পরে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়৷
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অভিজিৎ শর্মা জানান, তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে৷ ভেঙেও গিয়েছে৷ হাত, মাথা ও কপালে চোট লেগেছে৷ কিন্তু প্রথা অনুযায়ী কোভিড টেস্ট করাতেই তিনি পজ়িটিভ বলে শনাক্ত হয়েছেন। তাই তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে৷ গুলির ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে বলেও অধ্যক্ষ জানান৷