চোরকে ট্রেনের বাইরে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য।
১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটছে ট্রেন। রাতের অন্ধকার। তার মাঝেই একটি কামরার বাইরে এক ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেল। কখনও রেললাইনের পাথরে পা ছেঁচড়ে যাচ্ছে, কখনও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আর চিৎকার করে বলছিলেন, “আমাকে মারবেন না।”
ট্রেনের ভিতর থেকে তখন যাত্রীদের মধ্যে সমস্বরে আওয়াজ উঠল, “ওকে মেরে ফেলো। চুরি করার মজা বুঝবে।” ভয়ানক এই দৃশ্য উঠে এসেছে আবারও বিহার থেকে। এ বার ঘটনাস্থল ভাগলপুর।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাগলপুরের সাহেবগঞ্জ শাখার মমলেখা স্টেশনে। তখন রাতের অন্ধকার নেমে এসেছে। ট্রেন মমলেখা স্টেশনে পৌঁছয়। একটু অপেক্ষা করার পর ট্রেন যখন স্টেশন ছাড়ছিল, সেই সময়ই একটি কামরার দরজার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। কিন্তু যাত্রী তাঁর হাত ধরে ফেলেন। তার পর তাঁকে টেনে ট্রেনের ভিতর ঢুকিয়ে নেন।
মোবাইল চুরির বিষয়টি কামরার মধ্যে চাউর হতেই যাত্রীরা ক্ষেপে ওঠেন। এর পরই ওই চোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেও যখন তাঁদের রাগ মেটেনি, তখন চোরের হাত বেঁধে দরজার বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এক চুল এ দিক ও দিক হলেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। সেই ভাবেই চোরকে ট্রেনে বাইরে ঝুলিয়ে ১০ কিলোমিটার নিয়ে যান যাত্রীরা। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এক মোবাইল চোরকে ট্রেনের জানলার বাইরে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি মিনতি করতে থাকেন যাত্রীদের কাছে, কিন্তু তাতেও মন গলেনি তাঁদের। ওই অবস্থাতেই ১৫ কিলোমিটার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চোরকে। যে ঘটনা ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনাটি ছিল বিহারের বেগুসরাইয়ের।