মায়ের সঙ্গে শরৎ।— ফাইল ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও বার্তা। তাতে অপহৃতের কাতর আর্তি, “বাবা, ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে এরা আমাকে মেরে ফেলবে।” দাবি করা হয়, তাঁকে খুব মারধর করছে অপহরণকারীরা। উদ্বিগ্ন বাবা সেই ভিডিওটি পুলিশকে দেখাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভিডিওটি ভুয়ো। টাকার জন্যই অপহরণের ভুয়ো গল্প ফেঁদেছে বেঙ্গালুরুর ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র।
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ১৯ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রটি। বেঙ্গালুরুর উল্লালের বাড়ি থেকে নিজের নতুন বাইকে রওনা হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে আর খোঁজ নেই শরতের। সে দিন রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শরতের বাবা। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে পৃথক চারটি দল গঠন করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এরই মধ্যে শুক্রবার ছেলের মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ লক্ষ টাকা চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে।
আরও পড়ুন: বিশাল পাতায়, প্রখর রোদে এই শিশুকে বেঁধে ঘোরানো হল ২ ঘণ্টা!
বাবার মোবাইলে আসা হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় শরৎকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বাবা এরা আমাকে অপহরণ করেছে। আমাকে খুব মারধর করছে। ওরা নগদ ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে। টাকা পেলে আমাকে ছেড়ে দেবে বলছে। আর না পেলে আমাকে মেরে ফেলবে। কী করে, কোথায় টাকা দিতে হবে, তা ফোন করে জানিয়ে দেবে ওরা।’’
আরও পড়ুন: চ্যানেলে তোপ, তাই ঋতব্রতকে বহিষ্কার
ভিডিওটি শরৎ দাবি করেছে, টাকা না পেলে অপহরণকারীরা শুধু তাঁকে নয়, পরিবারেরও ক্ষতি করবে। বেঙ্গালুরু মিররের খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, ভিডিওটিতে শরতের শারীরিক ভাষা বেশ সন্দেহজনক। তাঁকে খুব মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরৎ। কিন্তু, তাঁর চোখ-মুখ দেখে তেমন কিছু বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাদের অনুমান, খুব সুন্দর ভাবে ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। শরত্ নিজেই অপহরণের গল্পটা সাজিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।