কুয়োর প্রায় ১৫ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল চন্দ্রশেখর। ছবি: সংগৃহীত।
খেলতে খেলতেই একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল বছর দু’য়েকের চন্দ্রশেখর। অবশেষে প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টার পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল শিশুটিকে। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার ঘটনা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বিনুকোন্ডার কাছে উম্মাদিভরম গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে একটি গভীর কুয়োয় পড়ে যায় ওই শিশুটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধারকাজে নামানো হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। বুধবার ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা।
আরও পড়ুন
গলা জলে নেমে স্কুলে পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতা দিবসে ভাইরাল ছবি
ঠিক কী ঘটেছিল?
চন্দ্রশেখরের মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের একটি খাটালের কাছে কাজ করছিলেন তিনি। আশপাশেই খেলাধুলো করছিল চন্দ্রশেখর। কাছেই ছিল একটি পরিত্যক্ত কুয়ো। তখনই মায়ের নজর এড়িয়ে কুয়োর পড়ে যায় শিশুটি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে আসেন জেলাশাসক কোনা শশীধর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী এন চিনা রাজাপ্পা।
আরও পড়ুন
সীমান্তে হোক বা সমুদ্রে, মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত: চিনকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
পুলিশ জানিয়েছে, কুয়োর প্রায় ১৫ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল চন্দ্রশেখর। ওই কুয়োর সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে একটি গর্ত খোড়া শুরু হয়। সেই গর্তের মধ্যে দিয়েই শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গত বছরই কানপুরে কুয়োর পড়ে একটি দেড় বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছিল। ১০ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়েও তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি। তবে সব কাহিনিই এ রকম মর্মান্তিক ভাবে শেষ হয়নি। ২০০৬ সালে ৬০ ফুট গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়োর পড়ে গিয়েছিল হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রর পাঁচ বছরের শিশু প্রিন্স। ৫০ ঘণ্টার চেষ্টার পর তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।