আর্যা রাজাগোপালন এবং তাঁর বাবা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
এ এক স্বপ্নপূরণের গল্প। দারিদ্রের সঙ্গে প্রতি দিন লড়াই করতে করতে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। যে গল্পের শেষে পেট্রল পাম্প কর্মীর মেয়ে জায়গা করে নেয় কানপুর আইআইটি-র মতো দেশের প্রথম সারির প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
‘ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন’ (আইওসি)-এর চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য টুইটারে জানিয়েছেন সেই স্বপ্নপূরণের গল্প। কেরলের কন্যা আর্যা রাজাগোপালনের সঙ্গে পোস্ট করেছেন তাঁর গর্বিত বাবার ছবি।
টুইটারে শ্রীকান্ত লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ান অয়েলের গ্রাহক-পরিষেবাকারী রাজাগোপালনের মেয়ে আর্যার অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী জানালাম। আইআইটি কানপুরে প্রবেশাধিকার পেয়ে সে আমাদের গর্বিত করেছে। আর্যা এগিয়ে যাও, শুভেচ্ছা রইল।’
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীও টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আর্যাকে। লিখেছেন, ‘সত্যিই হৃদয়গ্রাহী ঘটনা। আর্যা এবং তাঁর বাবার জন্য দেশের শক্তিক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত সকলেই গর্বিত। বাবা এবং মেয়ের এই উদাহরণ নতুন ভারতের সামনে অনুপ্রেরণা। শুভেচ্ছা রইল।’
গত দেড় দশক ধরে আইওসি-র পেট্রল পাম্পের কর্মী রাজাগোপালন। অভাবের সংসার। তবু, মেয়েকে কোনও দিন সে অভাব বুঝতে দেননি। টানাটানির মধ্যেও ছোটবেলা থেকে আর্যার পড়াশোনার দিকে নজর রাখতেন বাবা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য মেয়েকে প্রথম থেকেই উৎসাহিত করে গিয়েছেন।
আর্যা বরাবরই মেধাবী হিসেবে পরিচিত। স্কুল স্তরের পরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। স্নাতক স্তরের পর এম-টেক পড়ার জন্য কানপুর আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন। সাফল্য এল সেখানেও।