ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ বা নিট পরীক্ষার জন্য নয়াদিল্লির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থীদের লাইন। ছবি: পিটিআই।
দুই শিক্ষকের নির্দেশের জেরেই কেরলের এক পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে নিট পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস খুলতে হয়েছিল। এমনই দাবি করল কেরল পুলিশ। রবিবার ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ধৃত অভিযুক্তদের সংখ্যা দাঁড়াল সাত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শিক্ষকদের নাম অধ্যাপক প্রিজি ক্যুরিয়ান এবং শমনাদ। তদন্তকারীদের দাবি, কেরলের কোল্লামে একটি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে ছাত্রীরা যাতে অন্তর্বাস খুলে ঢোকেন, কর্মী-আধিকারিকদের সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন এই দুই শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ বা নিট)-এর জন্য ১৭ জুলাই কেরলের কোল্লামে একটি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিযোগ, পরীক্ষায় বসার আগে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। ছাত্রীরা যাতে হলে অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষার হলে ঢোকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মী-পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা।
এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ইতিমধ্যেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যদিও ওই সংস্থার তিন জন এবং কলেজের দুই কর্মী, মোট পাঁচ মহিলাকে আগেই গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর একটি অনুসন্ধান দল গড়ে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে কেরল প্রশাসন। পাশাপাশি, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি-র বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু।