যত নষ্টের গোড়া নজরদার ক্যামেরা! ফাইল চিত্র।
পথে দুর্ঘটনা কমাতে রাস্তায় নজরদার ক্যামেরা লাগিয়েছিল কেরল পুলিশ। কিন্তু তার জেরে সুখের দাম্পত্যে যে চিড় ধরতে পারে, তা বোধ হয় বুঝতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকরা। গত ২৫ এপ্রিল মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে বাইকে সওয়ার হয়েছিলেন তিরুঅনন্তপুরমের এক যুবক। কিন্তু বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না। রাস্তার নজরদার ক্যামেরায় সেই নিয়মভঙ্গের ছবি ধরা পড়ার পরেই পুলিশ পদক্ষেপ করে।
নিয়ম মোতাবেক ওই যুবকের ছবি তুলে এবং নিয়মভঙ্গের খতিয়ান তুলে ধরে রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে থাকা ফোন নম্বরে মেসেজ পাঠানো হয়। ওই যুবক গাড়িটি ব্যবহার করলেও কিনেছিলেন তাঁর স্ত্রীর নামে। ফলে পুলিশের পাঠানো মেসেজটি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে আসে। এরপরই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। ওই ছবিতে যুবকের পিছনে এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখে স্ত্রী জানতে চান, তিনি কে। ওই যুবক বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, কর্মক্ষেত্র থেকে বেরোতে রাত হয়ে যাওয়ায় ওই মহিলা সহকর্মীকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এতেও নাকি তাঁর স্ত্রীর সন্দেহ ঘোচেনি।
যুবকের স্ত্রীর অভিযোগ, এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হতেই মারধর করা শুরু করেন স্বামী। মারধরের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁদের ৩ বছরের শিশুসন্তানও। স্থানীয় থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবকের স্ত্রী। বস্ত্রবিপণিতে কাজ করা ওই যুবককে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।