বীরভূমের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট করে কোনও সংখ্যার উল্লেখ না করলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীসমর্থকদের উদ্দেশে জানিয়ে দিলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েতে জিততে হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থীদেরই কেন জেতাতে হবে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অভিষেক। তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষে বুধবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে সভা করেন অভিষেক। এই কিছু দিন আগে পর্যন্তও বীরভূম তৃণমূলে শেষ কথা বলতেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে গরু পাচার মামলায় তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক। তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করে অভিষেক জানান, এমন প্রার্থীদের জেতাতে হবে, যিনি দিল্লির কাছে মাথা নত করবেন না, শিরদাঁড়া সোজা করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন।
অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ গ্রেফতার হবেন না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। তদন্ত তদন্তের পথে চলবে, আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। তাঁর মেয়ের ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। অমিত শাহের ছেলের তো ৮০ হাজার শতাংশ সম্পত্তি বেড়েছে। তা হলে কেন অমিত শাহের ছেলেকে গ্রেফতার করা হবে না? কেন অমিত শাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না?’’
ইডি-সিবিআই দিয়ে অন্য দলকে ভয় পাওয়ানো গেলেও তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না, এমনটা দাবি করে অভিষেক বলেন, “এই দলটা সিপিএম নয়, কংগ্রেস নয়, যে একটু সিবিআই লাগাবে, ইডি লাগাবে আর তৃণমূল কংগ্রেস বাড়িতে ঢুকে যাবে।” তৃণমূলকে শক্ত লোহার সঙ্গে তুলনা করে অভিষেক জানান, তৃণমূলকে পীড়ন করলে সে আরও শক্তিশালী হবে। ১০০ দিনের কাজের মতো গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্র অর্থসাহায্য করছে না, এই অভিযোগ তুলে ফের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক। কেন্দ্রের তরফে বকেয়া অর্থ আদায়ে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থানে বসার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচির পর আমি নিজে দিল্লি গিয়ে অবস্থানে বসব। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বসব।”