ভিএস অচ্যুতানন্দন। —ফাইল চিত্র।
শুক্রবার ১০০ বছর পূর্ণ করে ১০১ বছরে পা দিলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা ভিএস অচ্যুতানন্দন। বেশ কয়েক বছর হল বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। মানসিক ভাবে সক্রিয় থাকলেও নিজে হাঁটাচলা করতে পারেন না সিপিএম পলিটব্যুরোর প্রাক্তন এই সদস্য। হুইলচেয়ারে চেপেই চলাফেরা করতে হয় তাঁকে।
কেরলের রাজনীতিতে মাইলফলক হয়ে রয়েছে ১৯৪৬ সালের পুন্নাপ্রা ভয়েলার ধর্মঘট। তরুণ বয়সে সেই ধর্মঘটের অন্যতম নেতা ছিলেন অচ্যুতানন্দন। ১৯২৩ সালের ২০ অক্টোবর আলেপ্পিতে তাঁর জন্ম হয়। মালয়ালি সংসদীয় রাজনীতিতে ভিএস অচ্যুতানন্দনের অনেক নজির রয়েছে। বিধায়ক হিসাবে তিনি কেরল বিধানসভায় ছিলেন ৩৪ বছর সাত মাস ২১ দিন। যা ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’-এর এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড।
অচ্যুতানন্দন ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে সব মিলিয়ে ১৪ বছর বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি। কখনও মন্ত্রী হয়েছেন, পরের বার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কারণ, কেরলের রাজনীতিতে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলটাই রীতি। যদিও ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা পর দু’বার সরকার গড়েছে। দলে সক্রিয় থাকার সময়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে অচ্যুতানন্দনের সংঘাত ছিল সর্বজনবিদিত। অচ্যুতানন্দন ছিলেন সিপিএমের মধ্যে ‘উদারবাদী’। আর বিজয়নরা ছিলেন ‘কট্টরপন্থী’। অচ্যুতানন্দনের নানা মন্তব্যে দলে অনেক সময় বিতর্কও হয়েছে। ২০১৬ সালে বামেরা কেরলে জয় পাওয়ার পর বিজয়নকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন অচ্যুতানন্দন। তাঁকে বোঝাতে কেরল ছুটতে হয়েছিল সীতারাম ইয়েচুরিকে।
অচ্যুতানন্দনের সঙ্গে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বাংলায় দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আনন্দবাজার অনলাইনকে সেলিম বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয়ে ওঁর নোটের জন্য আমরা অপেক্ষা করতাম। তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে তুলে আনার ক্ষেত্রে ওঁর অনেক অবদান রয়েছে।’’