Kerala High Court

দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে আর ১২ মাস অপেক্ষা নয়, আইন অকার্যকর ঘোষণা করল কেরল হাই কোর্ট

পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করার জন্য এক বছরের অপেক্ষা করতে হয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ আইনের সেই ১০-এ ধারা অকার্যকর ঘোষণা করল হাই কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোচি (কেরল) শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৩২
Share:

বিয়ের ছ’মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ চেয়ে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হন এক দম্পতি। এর পর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান তাঁরা। —ফাইল চিত্র।

পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দম্পতিকে আর এক বছরের জন্য আলাদা থাকতে হবে না। এক খ্রিস্টান দম্পতির মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল কেরল হাই কোর্ট।

Advertisement

পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করার জন্য খ্রিস্টানদের এক বছরের অপেক্ষা করতে হয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ আইনের সেই ১০-এ ধারা অকার্যকর ঘোষণা করল হাই কোর্ট। ওই বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে বলা হয়েছে, কোনও খ্রিস্টান দম্পতি পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ চাইলে আবেদনের অন্তত এক বছর আগে থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে। আগে এই সময়সীমা ছিল ২ বছর। তবে ২০১০ সালের একটি মামলায় কেরল হাই কোর্টই সময়সীমা এক বছরে কমিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। এ বার হাই কোর্ট জানিয়ে দিল ওই এক বছরের অপেক্ষারও প্রয়োজন নেই।

বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি শোবা আন্নাম্মার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই বাধ্যতামূলক অপেক্ষার যে সময়সীমা তা নাগরিকদের স্বাধীনতার অধিকারকে প্রভাবিত করছে। এই কারণে এটি আইন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। আদালত বলে, ‘‘আমরা মনে করি যে, ১৮৬৯ সালের ১০-এ ধারার এই আইনে বিবাহবিচ্ছেদের আগে যে এক বছর আলাদা থাকার ন্যূনতম সময়কালের স্থির করা হয়েছে, তা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ছে।’’

Advertisement

শুক্রবার সংশ্লিষ্ট রায়টি দেওয়া হয়েছে এক খ্রিস্টান দম্পতির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে খ্রিস্টান রীতি মেনে বিয়ে করেন দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বিয়ের পর তাঁরা বুঝতে পারেন যে এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাই বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তাঁরা। জানান পারস্পরিক সম্মতিতেই এই বিচ্ছেদ চাইছেন। কিন্তু পরিবার আদালত ১০-এ ধারা মেনে এই আবেদন খারিজ করে দেয়। জানায়, পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে বিয়ের পর এক বছরের আলাদা থাকা এই মামলার অপরিহার্য শর্ত। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান ওই দম্পতি। রিট পিটিশন দাখিল করেন। এই আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তারা। অবশেষে শুক্রবার ওই আইনটি অকার্যকর ঘোষণা কেরল হাই কোর্ট।

শুক্রবার সংশ্লিষ্ট রায়টি দেওয়া হয়েছে এক খ্রিস্টান দম্পতির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে খ্রিস্টান রীতি মেনে বিয়ে করেন দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বিয়ের পর তাঁরা বুঝতে পারেন যে এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাই বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তাঁরা। জানান পারস্পরিক সম্মতিতেই এই বিচ্ছেদ চাইছেন। কিন্তু পরিবার আদালত ১০-এ ধারা মেনে এই আবেদন খারিজ করে দেয়। জানায়, পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে বিয়ের পর এক বছরের আলাদা থাকা এই মামলার অপরিহার্য শর্ত। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান ওই দম্পতি। রিট পিটিশন দাখিল করেন। এই আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তারা। অবশেষে শুক্রবার ওই আইনটি অকার্যকর ঘোষণা কেরল হাই কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement