Hema Committee Report

কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা: নতুন আইনের খসড়া তৈরির জন্য আদালতবান্ধব নিয়োগ করল কেরল হাই কোর্ট

অগস্ট মাসে হেমা কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য নতুন আইনের সুপারিশ করেছে কমিটি। তার ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তুতিও শুরু করেছে কেরল সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৩
Share:

কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য নতুন আইনের তোড়জোড় কেরলে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে নতুন আইনের সুপারিশ করা হয়েছে হেমা কমিটির রিপোর্টে। রাজ্য সরকার সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও শুরু করেছে। চলছে আইনের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া। এ বার ওই নতুন আইনের খসড়া তৈরির জন্য আদালতবান্ধব নিয়োগ করল কেরল হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার আইনজীবী মিতা সুধীন্দ্রনকে এই দায়িত্বে নিযুক্ত করেছে বিচারপতি একে জয়শঙ্কর নামবিয়ার এবং বিচারপতি সিএস সুধার বিশেষ বেঞ্চ। আদালতবান্ধব বলতে বোঝায় এমন একজন, যিনি মামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। কিন্তু যাঁর মতামত, পরামর্শ বা যাঁর দেওয়া তথ্য আদালতকে ওই মামলায় সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement

কেরল হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে মালয়ালি চলচ্চিত্র দুনিয়ায় মহিলাদের সমস্যাগুলি দূর করতে সমস্ত দিক বিবেচনা করে দেখার জন্য আইনজীবী সুধীন্দ্রনকে জানিয়েছে আদালত। যাতে প্রস্তাবিত আইনটি সঠিক ভাবে প্রণয়ন করা হয়, তা দেখার জন্য আইনজীবীকে জানিয়েছে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।

বিচারপতি নামবিয়ার বৃহস্পতিবার মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, বিষয়টির সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত রয়েছে। তাই আদালত মহিলা আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছে এ বিষয়ে তাঁদের প্রস্তাবিত ভাবনার একটি খসড়া প্রস্তুতের জন্য। সব ধরনের সুপারশিই রাজ্যের খতিয়ে দেখা উচিত। কেরলের সরকারও এ দিন আদালতে জানিয়েছে, তারা আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করছে। রাজ্য সরকার গঠিত সিট ইতিমধ্যে যৌন হেনস্থার অভিযোগগুলির তদন্ত করেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টে। রিপোর্টে কেরল সরকার জানিয়েছে হেমা কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ২৬টি এফআইআর করা হয়েছে।

Advertisement

মালয়লি চলচ্চিত্র দুনিয়ার মহিলা কলাকুশলী এবং অন্য কর্মীদের একটি সংগঠন প্রথম এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে ধরেছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। ২০১৭ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হেমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মালয়লি চলচ্চিত্র দুনিয়ায় মহিলাদের সঙ্গে কী রকম আচরণ করা হয়, তা নিয়ে ওই কমিটি সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে আদালতে। তার প্রেক্ষিতেই কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের পথে এগোচ্ছে কেরল সরকার। মামলাকারী সংগঠন বৃহস্পতিবার আদালতে জানিয়েছে, তারাও একটি পৃথক প্রস্তাবিত খসড়া জমা দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement