প্রতীকী ছবি।
টানা দু’বার বা তার বেশি দফার বিধায়ক থাকলে তাঁকে আর প্রার্থী করা হবে না, এই নীতিই বজায় রাখল কেরলের শাসক সিপিএম। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের জন্য বুধবার সিপিএম যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল, সেখানে বাদ পড়লেন ৩৩ জন বিদায়ী বিধায়ক। প্রত্যাশিত ভাবেই, সেই বাদের তালিকায় আছেন পাঁচ মন্ত্রী। কেরলের ১৪০ আসনের জন্য ভোট হবে আগামী ৬ এপ্রিল।
কেরলে এলডিএফের প্রধান শরিক সিপিএম এ বার লড়বে ৮৫টি আসনে। তার মধ্যে ৮৩ আসনের প্রার্থী তালিকা এ দিন তিরুঅনন্তপুরমে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই আসনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এলডিএফের আহ্বায়ক এবং সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন বলেছেন, ‘‘আমাদের ফ্রন্টের নতুন দুই শরিক কেরল কংগ্রেস (এম) এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দলের (এলজেডি) জন্য আমাদের দল ৭টি আসনে ত্যাগ স্বীকার করেছে। তার মধ্যে পাঁচটি আমাদের গত বারের জেতা আসন।’’ রাতে কেরল কংগ্রেস (এম) তাদের ভাগের ১৩টির মধ্যে ১২টি আসনে প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়েছে। একটি আসনের ব্যাপারে তারা সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে।
সিপিএমের হয়ে এ বার ভোটের ময়দানে দেখা যাবে না পাঁচ মন্ত্রী টমাস আইজ়্যাক, এ কে বালন, জি সুরেন্দ্রন, সি রবীন্দ্রনাথ, ই পি জয়রাজনকে। প্রার্থী হননি স্পিকার পি শ্রীরামকৃষ্ণনও। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা-সহ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ৮ সদস্য ভোটে লড়ছেন। টানা দু’দফা বা তার বেশি বিধায়ক থাকলে তাঁদের আর প্রার্থী না করার সিদ্ধান্তে জেলায় জেলায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থক মহলে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। কোথাও কোথাও বিক্ষোভও হয়েছে। সে সব উপেক্ষা করে নীতিতে অনড় থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। বিজয়রাঘবনের বক্তব্য, ‘‘এলডিএফ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে জোর দিয়েই আমরা নির্বাচনে লড়ব। কোভিড পরিস্থিতি এবং লক-ডাউনের সময়ে সরকার ও বাম কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হতে পারেন যাঁরা, তাঁদেরই প্রার্থী করা হয়েছে।’’ সিপিএমের ঘোষিত তালিকায় মহিলা মুখ ১২।
এলডিএফের শরিক সিপিআই এ বার লড়ছে ২৫ আসনে। তার মধ্যে ২১ আসনের প্রার্থী তালিকা তারা মঙ্গলবারই ঘোষণা করে দিয়েছে। সিপিআইয়ের গত বারের জেতা ১৬ বিধায়কের মধ্যে ১৩ জন এ বার টিকিট পেয়েছেন। বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে বেশি বার বিধায়ক হওয়া সংক্রান্ত দলীয় নীতির কারণে।