বৃষ্টিপাতের জন্য বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা। ছবি: পিটিআই।
খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে বন্ধ করা হল কেদারনাথ ধাম যাত্রা। বুধবার সমগ্র উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশের বিক্ষিপ্ত এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে পুণ্যার্থীদের জন্য কেদারনাথ যাত্রা নিরাপদ নয়। খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে যাত্রীদের প্রাণের আশঙ্কাও থাকতে পারে। সেই কারণে কেদারনাথ ধাম যাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানত উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ড এলাকায় অবিরাম ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বুধবার সেখানকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির কারণে অলকানন্দা এবং মন্দাকিনী নদীর জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধসের ফলে চারটি রাজ্য সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য দশটি সড়কে যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ষণের কারণে কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের পর রাজ্য প্রশাসন যে সমস্ত রকম বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে, মঙ্গলবার সেই আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘প্রতি বছর বর্ষার সময় আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হই। ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নামে, নদীর জলস্তর ফুলেফেঁপে ওঠে। আমরা সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছি। রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সকলেই নিজেদের দায়িত্ব পূরণ করছেন। যে কোনও রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন।’’
মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কের উপর পাহাড় থেকে পাথর পড়ে মৃত্যু হয় চার জনের। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দশ জন। মৌসম ভবনের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, বুধবার উত্তরাখণ্ডে ১১৫.৬ থেকে ২০৪.৪ মিলিমিটার বেগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জুলাই মাসের গোড়া থেকে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড-সহ সমগ্র উত্তর ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বিপন্ন পরিস্থিতি। ক্রমাগত বৃষ্টি, ধস এবং হড়পা বানের জেরে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। হিমাচল প্রদেশে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চন্দ্রতাল এলাকায় কমপক্ষে ৫০০ জন পর্যটক খারাপ আবহাওয়ার কারণে আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।