একনায়কতন্ত্র চলছে কাশ্মীরে: কবিতা

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই সেখানে যায় চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তাতে কবিতা ছাড়াও ছিলেন অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ এবং আরও দুই সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লা ও বিমল ভাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৮
Share:

কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে কবিতা কৃষ্ণন। নিজস্ব চিত্র

ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে কিশোরদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। গোটা রাজ্যের বিরোধী নেতারা বন্দি। কাশ্মীরে এ ভাবেই নরেন্দ্র মোদী সরকার কার্যত ‘সামরিক একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছে বলে শুক্রবার কলকাতায় দাবি করলেন সিপিআই (এমএল) নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন।

Advertisement

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই সেখানে যায় চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তাতে কবিতা ছাড়াও ছিলেন অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ এবং আরও দুই সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লা ও বিমল ভাই। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে তাঁদের তৈরি ভিডিয়ো রিপোর্ট ‘কাশ্মীর কেজড’ দেখানো হয়। তাতে ধরা রয়েছে উপত্যকার নানা অংশের খণ্ডচিত্র।

কবিতার বক্তব্য, ‘‘অনেক রাজনৈতিক নেতা কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করায় তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যাওয়ার কথা ঘোষণা করিনি। তাই হয়তো উপত্যকায় পৌঁছতে পেরেছিলাম।’’ তিনি জানালেন, অনেক সময়ে বাহিনী আটকালেও নানা ভাবে জওয়ানদের বুঝিয়ে উপত্যকার নানা প্রান্তে যেতে পেরেছেন তাঁরা। কেবল শ্রীনগরের শ্রীনগরের মাইসুমা এলাকায় একটি ঘটনার খবর পেলেও সিআরপিএফের বাধায় যেতে পারেননি তাঁরা। পরে জেনেছিলেন সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়ি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সরকারের অনেক কর্তা বলছেন কিছু দিন মোবাইল-ইন্টারনেট না চললে কী হয়েছে? কিন্তু এই কারণে কাশ্মীরের অনেক গরিবের চিকিৎসা আটকে যাচ্ছে। কারণ যে সরকারি প্রকল্পের অধীনে তাঁদের বিনা খরচে চিকিৎসা হতে পারে ইন্টারনেটের অভাবে সেই প্রকল্পের সাইটে লগ ইন করতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।’’

Advertisement

কবিতার দাবি, বিশেষ মর্যাদা লোপের বেদনা তো আছেই। পাশাপাশি কাশ্মীরিদের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ভারতের অন্য রাজ্যে কি এ ভাবে কার্যত গোটা সমাজকে এক মাস ধরে আটকে রাখা সম্ভব? আমার ধারণা সে ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রবল হইচইয়ের জেরে বিপাকে পড়বে সরকার।’’ কৃষ্ণনের দাবি, ভারতের মতো পাকিস্তান সরকা রও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক বিবাদ তৈরি করতে চায়। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেও একনায়কতন্ত্র চলার নজির রয়েছে। কাশ্মীরিদের অধিকার নিয়ে গোটা দেশের মুখ খোলা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement