সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
কাবেরী নদীর জলবন্টন নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সলা করতে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আগেই কাবেরীর জলবন্টন চুক্তি নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তামিলনাড়ু সরকার। রবিবার কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা সেচমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানান, কর্নাটক সরকারও বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে।
গত সপ্তাহে তামিলনাড়ু সরকার কর্নাটক থেকে প্রতিদিন কাবেরীর ২৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার জন্য আদালতে আর্জি জানায়। তার পর আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় কর্নাটক সরকারও। এর আগে কর্নাটক সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, তামিলনাড়ুর কাবেরী উপত্যকায় পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে এবং চাষাবাদের সুবিধার্থে তারা কিছু পরিমাণ জল ছাড়তে প্রস্তুত। কিন্তু কর্নাটক যে পরিমাণ জল ছাড়ার কথা জানিয়েছিল, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি তামিলনাড়ু।
এর আগে ‘কাবেরী জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ কর্নাটক সরকারকে কাবেরীর ১০ হাজার কিউসেক জল তামিলনাড়ুকে দিতে বলেছিল। কিন্তু এই ‘কৃষকদের স্বার্থে’ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানায় কর্নাটক। স্বল্প বৃষ্টির কারণে এমনিতেই কর্নাটকের জলাধারগুলিতে জলাভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৃষকদের স্বার্থ না দেখে দলীয় স্বার্থ দেখার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি, জেডিএস-এর মতো কর্নাটকের বিরোধী দলগুলি। কাবেরী জলবন্টন নিয়ে আলোচনা করতে আগামী বুধবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস সরকার। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে কংগ্রেস এককভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন শাসকজোটের শরিক কংগ্রেস।
কাবেরী নদীর জলবন্টন নিয়ে তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকের বিবাদ অবশ্য নতুন নয়। দক্ষিণের এই নদীটির কর্নাটকে উৎপত্তি। তার পর তামিলনাড়ুতে ঢুকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে গোদাবরী, কৃষ্ণার পর দক্ষিণ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নদী কাবেরী।