বরের বানানো দোসা মুখেই তুললেন না কেট

শুধু রাজপাট সামলান না, রন্ধনেও বেশ পটু তিনি! কাল খেলার মাঠে ঝড় তোলার পর আজ সোজা রান্নাঘরে। একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে ‘রাঁধুনি’-র ভূমিকায় দেখা গেল রাজদম্পতি, ডিউক এবং ডাচেস অব কেমব্রিজকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২৬
Share:

নিজের বানানো দোসা চেখে দেখলেন রাজকুমার। সঙ্গে কেট। সোমবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।

শুধু রাজপাট সামলান না, রন্ধনেও বেশ পটু তিনি!

Advertisement

কাল খেলার মাঠে ঝড় তোলার পর আজ সোজা রান্নাঘরে। একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে ‘রাঁধুনি’-র ভূমিকায় দেখা গেল রাজদম্পতি, ডিউক এবং ডাচেস অব কেমব্রিজকে।

ময়দার গোলাটা চটপট মেশিনটায় ঢেলে দিলেন ডিউক— উইলিয়াম। তার পর মেশিনটার বোতামগুলো টিপে দিলেন ডাচেস অব কেমব্রিজ, কেট। আর এক মিনিটেই প্রস্তুত দোসা। খেতেও বেশ সুস্বাদু। অন্তত খানিকটা চেখে তেমনটাই জানালেন উইলিয়াম। তবে দোসা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন কেট। কারণটা জানা যায়নি।

Advertisement

এক কামড় দিয়েই উইলিয়াম বললেন, ‘‘নমস্তে মুম্বই! এই দোসা অভিজ্ঞতাটার জন্য ধন্যবাদ। সামনের বার নিশ্চই আরও ভাল কিছু হবে।’’ যে মেশিনে এক মিনিটেই রান্না সারা হয়ে গেল, তা নিয়েও বেশ কৌতূহলী উইলিয়াম। বিস্ময় চেপে না রেখেই তিনি বলেছেন, ‘‘(ভারতীয়দের) এই নতুন নতুন ভাবনা আর উদ্যম দেখে আমরা অবাক। এখানে এসে বুঝতেই পারছি উদ্ভাবন আর প্রযুক্তির সাহায্যে ভারত কী ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’ ডিউক এবং ডাচেস দু’জনেই নাকি দোসা খেতে বেশ ভালবাসেন। তাই এই মেশিনটি রাজপরিবারের জন্যও চেয়ে রেখেছেন ডাচেস। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সেই মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার। এমনকী এই মেশিনে যেহেতু প্যানকেকও বানানো যেতে পারে, তাই গোটা লন্ডনেই এর ভাল কদর হবে, সেটাও নাকি বলেছেন কেট।

তবে এ সবের আগেই গত কাল সন্ধেয় সম্ভবত তাঁদের প্রবীণতম ভক্তের সঙ্গে দেখা করেন কেট-উইলিয়াম। ৯৩ বছরের বোমান কোহিনুর। মুম্বইয়ের একটি জনপ্রিয় পার্সি রেস্তোরাঁর মালিক তিনি। রাজপরিবারের এতটাই ভক্ত বোমান যে তাঁর রেস্তোরাঁও সাজানো রানি এলিজাবেথের ছবি, উইলিয়াম, কেটের বড় বড় কাট আউট দিয়ে। কিছু দিন আগেই তাঁর রাজদম্পতির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা জানতে পেরে মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁর মালিকের জন্যও সময় রাখতে ভোলেননি ডিউক এবং ডাচেস অব কেমব্রিজ।

কেমন কাটল বোমানের রবিবাসরীয় সন্ধেটা?

বোমানের কথায়, ‘‘রাজদম্পতির সঙ্গে দেখা হলো। খুবই নম্র। আমার রেস্তোরাঁ এবং আমার পছন্দের খাবার নিয়েও প্রশ্ন করেছেন।’’ বোমান আরও বললেন, ‘‘রানীকে আমার ভালবাসা এবং জর্জ আর শার্লটকে আমার স্নেহ পৌঁছে দিতে বলেছি। তবে যদি আরও খানিকটা কথা বলা যেত...।’’

পরে নয়াদিল্লি উড়ে যান কেট-উইলিয়াম। সেখানে ‘গাঁধী স্মৃতি’-তে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁরা। রানি এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ একটি বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। আর আগামীকাল নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজের পরেই গন্তব্য কাজিরাঙা।

আসলে হাতে মোটে একটা সপ্তাহ। অথচ তালিকায় প্রচুর কাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement