এখনও অবরুদ্ধ কাশ্মীর। ছবি: এপি।
বন্দিদশাতেই মৃত্যু হল জম্মু-কাশ্মীরের নিষিদ্ধ ‘জামাত-ই-ইসলামিয়া’ সংগঠনের নেতা গোলাম মহম্মদ ভাটের। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদের একটি জেলে বন্দী ছিলেন তিনি। শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার বিমানে তাঁর দেহ শ্রীনগরে ফিরিয়ে আনা হয়।
গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়। সেইসময় উপত্যকার কয়েক’শ মানুষের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় গোলাম মহম্মদ ভাটকেও। তাঁর বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে ইলাহাবাদের নৈনি সেন্ট্রাল জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
সেই থেকে ওই জেলেই বন্দি ছিলেন গোলাম মহম্মদ। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর উপর ওই আইন কার্যকর থাকার কথা ছিল। তার আগেই শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেই গোলাম মহম্মদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ দেশের একাধিক জেলে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ কাশ্মীরি রাজনীতিক বন্দি রয়েছেন। রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকেও বন্দি করে রাখা হয়েছে।