সাফিনা নবি। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তি মেটে না। সমস্যাও মেটে না। গত কয়েক দশক ধরে লাগাতার সংঘর্ষ আর অশান্তির জেরে আজও নিখোঁজ ভূস্বর্গের কয়েক হাজার কাশ্মীরি পুরুষ। তাঁদের স্ত্রীরা আজও জানেন না, স্বামীরা বেঁচে রয়েছেন কি না। তাঁরা স্বামীর সম্পত্তির আইনি অধিকারী কি না। বহু বছর ধরে স্বামী নিখোঁজ থাকলেও পুনর্বিবাহ করা উচিত কি না সে বিষয়ে দ্বন্দ্ব আর অপরাধবোধে ভোগেন অধিকাংশই। এঁদের পোশাকি নাম ‘হাফ উইডো’। অর্থাৎ ‘অর্ধেক বিধবা’। তাঁদের বৈধব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কারণ তাঁদের স্বামীরা বেঁচে রয়েছেন কি না, কেউ জানে না। এমনই মহিলাদের নিয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়া প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন কাশ্মীরের মহিলা সাংবাদিক সাফিনা নবি। সম্প্রতি সেই কাজের জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করে পুণে ইনস্টিটিউট। কিন্তু অনুষ্ঠানের ঠিক আগে বাতিল করা হল পুরস্কার। সাফিনার দাবি, রাজনৈতিক চাপেই এই সিদ্ধান্ত।
দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলাদের নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন সফিনা। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ সেপ্টেম্বর পুণে রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগের দিন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এক জন ফোন করে তাঁকে জানান, পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে। তাঁর আর আসার প্রয়োজন নেই। এই সিদ্ধান্তের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সাফিনাকে জানানো হয়, তাঁকে ওই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করায় কর্তৃপক্ষকে বিপুল রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সাফিনার তথ্য ও প্রতিবেদনের জন্য দেশে-বিদেশের মঞ্চে সমালোচিত হতে হয়েছে ভারত সরকারকে।