সাংবাদিকদের একটি অংশ সশস্ত্র বাহিনীর সাহায্য নিয়ে প্রেসক্লাবের বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কমিটিকে সরিয়ে ক্লাবের দখল নেয়। ছবি সংগৃহীত
সশস্ত্র বাহিনীর সাহায্যে কাশ্মীরের প্রেস ক্লাব দখল করল সাংবাদিকদের একাংশ। শনিবার সকাল থেকে কাশ্মীরের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠনের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে দেশের সম্পাদকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন এডিটরস গিল্ডও।
কোনও আইনি নথি ছাড়াই কী ভাবে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রবেশ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। অন্যদিকে ওমরের অভিযোগ, সরকারেরর মদতেই ঘটানো হয়েছে গোটা বিষয়টি।
ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য গত বছর ২৯ ডিসেম্বর। জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কাশ্মীরের প্রেস ক্লাবকে নতুন করে সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করে। কিন্তু তার ১৫ দিনের মধ্যেই সেই রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাহারও করে নেয়। এডিটরস গিল্ড জানিয়েছে, নতুন রেজিস্ট্রেশনের পর গত ১৩ জানুয়ারি প্রেস ক্লাবের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসে রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাহারের নোটিস। সরকারি নিয়মে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় প্রেস ক্লাব নির্বাচন আটকে ছিল দীর্ঘদিন। সরকারের সিদ্ধান্তে আবার তা আটকে যায়।
প্রশাসনের ওই নোটিসের পরের দিনই সাংবাদিকদের একটি অংশ সশস্ত্র বাহিনীর সাহায্য নিয়ে প্রেসক্লাবের বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কমিটিকে সরিয়ে ক্লাবের দখল নেয়। ক্লাবের দফতরটিও বন্ধ করে দেয়। কাশ্মীরের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও বন্ধ হয়ি প্রেস ক্লাবের দরজা। কাশ্মীরে দীর্ঘ সময় যখন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল, তখন এখান থেকেই নিয়মিত কাজ করেছেন সাংবাদিকরা। এডিটরস গিল্ড জানিয়েছে, যে ভাবে সশস্ত্র বাহিনী সরকারি অনুমতিপত্র ছাড়াই প্রেস ক্লাবের দখল নিয়েছে, তা নিন্দার। একই সঙ্গে কাশ্মীরে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর কীভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে তা-ও এতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।