ছবি সংগৃহীত
নেপালের পর ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলকে তাদের রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করল পাকিস্তানও। ইতিমধ্যেই সে দেশের মন্ত্রিসভাও তাতে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের কিছু অংশ ওই মানচিত্রে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গুজরাতের জুনাগড় ও মানবগড় শহর এবং স্যর ক্রিক অঞ্চলও পাকিস্তানের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের বর্ষপূর্তির ঠিক এক দিন আগে, এই নয়া মানচিত্র উন্মোচন করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘‘এই মানচিত্র প্রত্যেক পাক নাগরিক এবং কাশ্মীরের মানুষের আশার প্রতীক।’’ এখন থেকে পাকিস্তান সরকারি ভাবে এই মানচিত্রই ব্যবহার করবে বলেও জানান তিনি। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘‘এই প্রথম সরাসরি বিশ্বের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পাকিস্তান।’’
এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘আমরা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রকাশিত তথাকথিত রাজনৈতিক মানচিত্রটি দেখেছি। গুজরাত ও জম্মু-কাশ্মীরের ভূখণ্ডের উপরে এই পাক দাবি সে দেশের অবাস্তব রাজনৈতিক চিন্তারই প্রতিফলন। এর না আছে আইনি বৈধতা, না আছে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা। বোঝাই যাচ্ছে পাকিস্তান ভূখণ্ড দখলের জন্যই সন্ত্রাসে মদত দেয়।’’ গুজরাতের অংশ নয়া পাক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সে রাজ্যের নেতারাও। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের কথায়, ‘‘পাকিস্তান অবাস্তব কথা বলছে। সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই সর্দার পটেলের চেষ্টায় জুনাগড়ের মানুষ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেন।’’ পাক মানচিত্রের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও।