বারাণসীতে বিভিন্ন পোশাকে মোদী। ছবি— টুইটার।
নিজের লোকসভা কেন্দ্রে স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালভৈরব মন্দিরে পুজো, গঙ্গাস্নানের পর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো করেন তিনি। তার পর করিডর উদ্বোধন করে বক্তৃতা রেখেছেন। যোগী-সহ বিজেপি-শাসিত সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও সোমবার বারাণসী ছিল মোদীময়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর পোশাকও নজর কেড়েছে।
সকালে কালভৈরব মন্দিরে মোদীকে দেখা গিয়েছে ধূসর রঙের কুর্তায়। তখন তাঁর গায়ে জড়ানো ছিল সাদা শাল। কালভৈবর মন্দিরে পুজো দিয়ে বারাণসীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। তার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে গঙ্গায় নৌকায় চড়ে যান ললিতা ঘাটে।
সেখানে গিয়ে গঙ্গায় স্নানও করেন মোদী। তখন তাঁর পরনে ছিল গেরুয়া বসন। বারাণসীর গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করে এক বুক গঙ্গাজলে দাঁড়িয়েই সারেন প্রার্থনা। ততক্ষণে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। স্নান সেরে মোদীকে আসতে দেখা যায় সোনালি রঙের পাঞ্জাবি পরে।
সেই পোশাকেই তিনি যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে পূজা-অর্চনা। ঘি-মধু-চন্দন- ফুল-বেলপাতা মালায় পুজোর পর আরতি। তা শেষে মন্দির চত্বরেই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের গায়ে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। এর পরই করিডর উদ্বোধন করেন মোদী। তার পর বক্তৃতায় উঠে এসেছে একাধিক প্রসঙ্গ। এই করিডর তৈরি হওয়ায় আগত ভক্তদের কী সুবিধা হবে, তার বিবরণ দিয়েছেন।
এই করিডর তৈরি নিয়ে একাংশ যে কটাক্ষের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার পরই বলেছেন, ‘‘যাঁর হাতে ডমরু থাকে, তিনিই কাশীর সরকার।’’ বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন শাসক কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সাজাতে কী করেছিলেন সে কথাও উদহরণ হিসাবে উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তাঁর স্বপ্নের এই প্রকল্পের জেরে সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও মনে করে মোদী।