—প্রতীকী ছবি।
ভিন্ধর্মী যুগলকে কর্নাটকের হাভেরি জেলার হানাগল তালুকের এক হোটেলে মারধরের ঘটনার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এ বার সেই ঘটনায় নতুন মোড়। শুধু শারীরিক নির্যাতন নয়, ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলাকে (২৬) হোটেলে ঢুকতে দেখে স্থানীয় যুবকদের খবর দেন এক অটোচালক। অভিযোগ, এর পরেই ছয় যুবক ওই যুগলের উপরে চড়াও হয়। মারধরের পাশাপাশি কটূক্তিও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে হোটেলের বাইরে এক জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুগলকে। অভিযোগ, সেখানেই ছয় যুবক এবং তাদের এক সঙ্গী ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়। সেখানেই তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি ধারাও এফআইআরে যুক্ত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক জন। এ ছাড়া বাকি তিন জনকে শনাক্ত করা হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
ওই যুগলকে হোটেলে মারধরের ভিডিয়ো করা হয়। পরে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতেই রাজ্যে মহিলাদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। পুলিশের তোয়াক্কা না করেই অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিদ্দারামাইয়া সরকারকে ‘ঘুমন্ত’ সরকার বলেও দেগেছে বিজেপি।
এই ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, এটা নীতি পুলিশির প্রশ্ন নয়। অনেকেই তাঁকে আর এক জনের সঙ্গে দেখেছেন। ঘটনার দু’দিন পরে তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকই আছে। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনা থেকে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বলেও জানিয়েছেন পরমেশ্বর।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন এক গুরুতর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন?