টেবিলের উপরে রাখা করকরে টাকার বাণ্ডিল। টেবিলের এক পাশে তখন কর্ণাটকের এক মন্ত্রীর স্ত্রী। আর অন্য প্রান্তে এক ব্যবসায়ী। চলছে টেন্ডার পাশ করার দর কষাকষি। যা থামল ৭ লক্ষ টাকায়। এ ভাবেই ঘুষ নিয়ে ব্যবসায়ীকে টেন্ডার পাইয়ে দিলেন কর্ণাটকের সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর স্ত্রী। নিজের বাড়িতে বসেই।
ব্যস, কেল্লা ফতে! এক টিভি চ্যানেল প্রকাশ করে দিয়েছে এই ভিডিও। ওই টিভি চ্যানেলই স্টিং অপারেশন করেছিল। ব্যাবসায়ী হিসাবে সাজিয়ে এক ব্যক্তিকে নকল টাকার বাণ্ডিল নিয়ে পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রীর বাড়িতে। গোপন ক্যামেরায় পুরোটাই ধরা পড়েছে বলে জানায় চ্যানেলটি। যেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে এই দর কষাকষি। আর তাতেই প্রায় ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগার হয়েছে মন্ত্রী দম্পতির। সমালোচনা ঠেকাতে এখন মন্ত্রী আঞ্জানেয়া অবশ্য আগাগোড়া নেহাত ‘ষড়যন্ত্র’ হিসাবেই দেখাতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে।’’ এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য স্টিং অপারেশন সম্বন্ধে জ্ঞাত নন বলেই জানান।
কর্ণাটকে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তাহলে কি তিনি বিজেপির দিকেই আঙুল তাক করতে চেয়েছেন? বিজেপিও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা এশওয়ারাপ্পা আঞ্জানেয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন।