প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকে চাকরির টোপ দিয়ে সহবাস ও ভিডিয়ো কাণ্ডে অপহরণ করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে। এই দাবি করে বেলাগাভির এপিএমসি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই তরুণীর বাবা-মা। তাঁদের মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন অভিযোগপত্রে। অভিযোগের ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও নিখোঁজ ওই তরুণী।
বিদ্যুৎ দফতরে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ ওঠে কর্নাটকের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে। ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর আপত্তিকর অবস্থায় একটি ভিডিয়োও সামনে আসে। দীনেশ কালাহল্লি নামে স্থানীয় এক সমাজকর্মী ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনার পরেই এই নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় কর্নাটকে। ইস্তফা দিতে বাধ্য হন জারকিহোলি।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছিলই। তার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণীর পরিবারের তরফে নতুন একটি অভিযোগ দায়ের করে বলা হয়েছে, মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তরুণীর মা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেও এই দাবি করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি বিধির ৩৬৩, ৩৬৮, ৩৪৩, ৩৫৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। খোঁজ চালাচ্ছে ওই তরুণীর।
তরুণীর মা বলেন, ‘‘মেয়েকে ফোন করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, টিভিতে একটা ভিডিয়ো দেখাচ্ছে, যার সঙ্গে মেয়ের মুখের মিল রয়েছে। কিন্তু মেয়ে জানায় যে, সে কিছু জানে না এবং ওই তরুণী সে নয়। ওটা ভুয়ো ভিডিয়ো। সে কোনও ভুল করেনি বলেও জানায়। তার পর আমি বলি, কোনও অন্যায় না করলে বাড়ি ফিরে এস। তখন সে বলে, আমি যেতে পারব না। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘পরে আবার মেয়ে জানায়, সে নিরাপদে আছে। তখন অবশ্য মেসেজে কথা হচ্ছিল। ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতেও আমাদের নিষেধ করে। তার পর থেকেই ওর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার পর আমরা টিভিতে একটা ভিডিয়ো দেখি। তাতে দেখলাম মেয়ে বলছে, সে আত্মহত্যা করতে চায়।’’ অন্য দিকে গত সপ্তাহেই তরুণীর মা-বাবা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন।