কর্নাটকে আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল
করোনা অতিমারির প্রভাব কিছুটা স্তিমিত হতেই বেঙ্গালুরুতে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল। সোমবার থেকেই কোভিডবিধি মেনে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলে দেওয়ায় ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা মোটের উপর খুশি। এ রাজ্যেও শিশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে ছাত্র শিক্ষক এমনকি, সাধারণ মানুষের একটা অংশ চাইছেন স্কুল খুলে যাক।
বেঙ্গালুরুর শিবাজীনগর এলাকার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা বলেন, ‘‘কোভিডবিধি মেনে আমরা প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরু করে দিলাম। তবে এখনই আপার কিন্ডারগার্টেন (ইউকেজি) এবং লোয়ার কিন্ডারগার্টেন(এলকেজি)শিশুরা এখনই স্কুলে আসছে না।’’
স্কুলে আসতে পেরে খুশি পড়ুয়ারাও। আইজা নামে এক পড়ুয়া বলে, ‘‘অনেকদিন পর আবার স্কুলে ফিরতে পেরে আমি খুশি। আবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারব।’’
কর্নাটকে কোভিড পরিস্থিতি এখন এ রাজ্যের চেয়ে অনেকটাই খারাপ। কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুর তুলনামূলক বিচারেও পরিস্থিতি এ রাজ্যে অনেকটাই ভাল। মৃত্যুসংখ্যা বা সংক্রমণের নিরিখেও অনেকটাই ভাল অবস্থায় রয়েছে এই শহর ও রাজ্য।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে অভিভাবক, শিক্ষকদের একাংশ সরব হয়েছেন। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সোমবার রাজ্যের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। তাদের বক্তব্য, শিশুদের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত মৃদু উপসর্গ দেখা দেয় করোনার। চিঠিতে পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত ২.৫-৩ শতাংশের কম শিশুর দেহে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এই ভাইরাস। পশ্চিমবঙ্গে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ০.০৮%। স্কুল খুললে এই পরিসংখ্যানে কোনও হেরফের হবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।