ফাইল চিত্র।
‘‘মুখ দেখে কি বাংলাদেশি চেনা যায়?’’ সোমবার এই প্রশ্নই তুললেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা। সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে কর্নাটকের বেল্লান্ডুর ও হোয়াইটফিল্ডে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বসতি এলাকা। সেখানে থাকতেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি শ্রমিকেরাও। ঘটনার পরেই যাঁরা ভয়ের চোটে রাজ্যে ফিরে আসেন। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করতে হবে।
‘বাংলাদেশি’ উচ্ছেদ ও বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় তাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে গত শুনানিতেই জানিয়েছিল বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি)। সোমবারও রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং কে নাভাড়গি জানান, এই ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের কোনও যোগ নেই।
এই ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। যে পুলিশ অফিসার বাড়িঘর ভাঙার বিষয়টি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ভূমিকা নিয়েও। আদালত জানতে চায়, ‘‘শুধু মাত্র বাংলাদেশি সন্দেহে কি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে পুলিশ?’’ ওই পুলিশ অফিসার কী ভাবে এখনও কর্মরত রয়েছেন, সেই প্রশ্নও তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রশাসন অফিসারদের সমস্ত দিক থেকে আড়াল করছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিক নেই।’’
অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে উপযুক্ত সংস্থার মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে সমীক্ষার ও যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে বিবিএমপি কোনও তারিখ নির্দিষ্ট করেনি। রাজ্যও বাড়ি ভাঙার বিষয়টিতে দায় এড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাসিন্দারা নিজেরাই ঘর খালি করেছিলেন এমনটাও কার্যত অসম্ভব বলেই মত আদালতের। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত রায়।