ছবি- এএফপি।
তাঁর উপর আস্থা হারিয়ে জোট সরকারের শরিক কংগ্রেস বিধায়করা যখন একের পর এক ইস্তফা দিচ্ছেন, তখন বিধানসভায় আস্থা ভোট চাইলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। স্পিকার রমেশ কুমারের কাছে ওই অনুরোধ জানিয়ে আস্থা ভোটের দিনও চূড়ান্ত করে ফেলতে বলেছেন তিনি।
রাজ্য রাজনীতির এই জটিল পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী নিজেই বিধানসভায় আস্থা ভোট চাওয়ায় বিস্মিত অনেকেই। ১৬ জন বিধায়ক তাঁদের পদত্যাগপত্র স্পিকারের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়ায় বিধানসভায় জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে সর্বত্রই। কর্নাটকে ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস, জে়ডিএস জোট সরকারের পক্ষে সমর্থন ছিল ১১৬ জনের। স্পিকারের অফিসে যাঁরা ইস্তফাপত্র জামা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক। বাকি ৩ জন তাঁর দল জেডিএসেরই বিধায়ক।
এই জটিল পরিস্থিতিতেই শুক্রবার বিধানসভার জরুরি অধিবেশন শুরু হয় ১১ দিনের জন্য। অধিবেশন শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, ‘‘স্যর, আমি চাই আস্থা ভোট নেওয়া হোক। আপনি তার সময় চূড়ান্ত করুন। আমি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই পদ টিঁকিয়ে রাখতে চাই না বলে।’’
আরও পড়ুন- ১০০ কিমি গতিতে ছুটবে ড্রোন, হ্যালের হাত ধরে নয়া ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ আনছে ভারত
আরও পড়ুন- শুনানি পিছোল সুপ্রিম কোর্ট, কর্নাটকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কংগ্রেস-জেডিএস
ও দিকে, কর্নাটকের বিধানসভা স্পিকারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের টানাপড়েন নিয়ে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিল না সুপ্রিম কোর্ট। বরং বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে বলে জানাল শীর্ষ আদালত। তত দিন পর্যন্ত রাজ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেয়ে গেল কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) জোট সরকার। তত দিনে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কোনও রকম মীমাংসায় আসা সম্ভব হয় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবারের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছিলেন কর্নাটকের বিধানসভা স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। ওই বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে বলে যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই আবেদনের শুনানিতেই, এ দিন বিধায়কদের ইস্তফা সংক্রান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে দেয় আদালত।