কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।
জমি দুর্নীতি মামলায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া মঙ্গলবারই ধাক্কা খেয়েছেন হাই কোর্টে। বুধবার নিম্ন আদালতও লোকায়ুক্তকে অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। নিম্ন আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ বার মুখ খুললেন সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমি কোনও কিছুর ভয় পাই না। আমি লড়ব। তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা প্রস্তুত। আইনি পথে আমি লড়াই করব।”
উল্লেখ্য, স্নেহময়ী কৃষ্ণা নামে এক সমাজকর্মীই প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় বেআইনি ভাবে ১৪টি জমি বেআইনি ভাবে বণ্টন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের। ওই ঘটনায় কর্নাটকের রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে সম্মতি দিয়েছিলেন। সেই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তবে ছ’টি শুনানির পর মঙ্গলবার সিদ্দারামাইয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট। রাজ্যপালের সম্মতিকেই বহাল রাখে হাই কোর্ট।
এ বার কর্নাটকের নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সমাজকর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে অবশ্যই পুলিশি অভিযোগ দায়ের হওয়া উচিত। লোকায়ুক্তকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পরেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি কোনও কিছুর ভয় পান না। যদিও নিম্ন আদালতের এই নির্দেশে সন্তুষ্ট নন অভিযোগকারী ওই সমাজকর্মী। স্নেহময়ীর দাবি সিবিআই তদন্তের। তবে নিম্ন আদালত জানিয়েছে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর এই মামলার তদন্ত করবেন লোকায়ুক্ত। এমন অবস্থায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কর্নাটক হাই কোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকর্মী।