BJP

কর্নাটকে বিজেপির বিরোধ উস্কে দিলেন দলের বিধায়ক

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্রকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি করার পর থেকেই কর্নাটকে বিজেপির অন্দরে কোন্দল চরমে। বিজয়েন্দ্র নিজেও বিধায়ক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দলের অন্দরের কোন্দল এবং রাজ্যে সরকার-বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলায় নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন কর্নাটকের সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিধায়ক। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভলির অভিযোগ, কর্নাটকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকের মধ্যে কোনও বনিবনাই নেই। যার ফলে বিরোধী দল হিসেবে কর্নাটক বিজেপি চরম ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Advertisement

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্রকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি করার পর থেকেই কর্নাটকে বিজেপির অন্দরে কোন্দল চরমে। বিজয়েন্দ্র নিজেও বিধায়ক। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দলের বেশির ভাগ নেতা-বিধায়কেরই সম্পর্ক ভাল নয় বলে অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। যার ফলে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও বিজেপি সে ভাবে প্রতিবাদ-আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বলে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরেই। এ দিন সেই অভিযোগ উস্কে দিয়ে লিম্বাভলি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক যে আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি (বিজয়েন্দ্র) এবং বিধানসভার বিরোধী নেতার (অশোক) মধ্যে কোনও বোঝাপড়াই নেই। মুডা (মাইশুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন) কেলেঙ্কারি, বাল্মীকি উন্নয়ন প্রকল্প কেলেঙ্কারি, এসসি-এসটি তহবিল নয়ছয়ের মতো বিষয় নিয়ে আমাদের দল কোনও কার্যকর ভূমিকা নিতেই পারেনি।’’

বরাবরই সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ লিম্বাভলির এই মন্তব্য বিজয়েন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিরোধী শিবিরের দ্বন্দ্ব নতুন করে দলের মধ্যে উস্কে দেবে বলে মনে করছেন অনেকেই। গত বিধানসভা ভোটে দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগে জর্জরিত ইয়েদুরাপ্পা সরকার কংগ্রেসের কাছে হেরে যায়। তার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিরোধ বাড়তে থাকে। দলের এই হারের পিছনে একটা বড় অংশের নেতাই ইয়েদুরাপ্পার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, দুর্নীতির অভিযোগ-সহ নানা বিষয় তুলে সরব হন। এরই মধ্যে ইয়েদুরাপ্পা নিজে অবসরের কথা ঘোষণা করে ছেলে বিজয়েন্দ্রকে বিজেপি সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় দলের একটা বড় অংশ এর বিরোধিতা করলেও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা ইয়েদুরাপ্পার সিদ্ধান্তই মেনে নেন। তাঁদের অঙ্ক ছিল, প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত ভোট এর ফলে দলের সঙ্গেই থাকবে। কিন্তু সম্প্রতি লোকসভা ভোটে একাধিক আসনে হারের পরে বোঝা গিয়েছে, প্রথমত, লিঙ্গায়েত ভোটের একটা অংশ এখনও বিজেপির বিরুদ্ধে নারাজা। দ্বিতীয়ত দলের অন্তর্কলহ ছাপ ফেলেছে ভোটের বাক্সে। এরই মধ্যে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিধায়ক লিম্বাভলি সুর চড়ানোয় বিজেপির অন্দরের ফাটল আগামী দিনে আরও চওড়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement