Karnataka Assembly Election 2023

ত্রিশঙ্কু কর্নাটকে আবার সরকার গড়ার ‘চাবি’ দেবগৌড়া, কুমারস্বামীর হাতে? ইঙ্গিত দিল সমীক্ষা

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) এ বারের বিধানসভা ভোটে ২০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে বলে প্রায় সবক’টি বুথ ফেরত সমীক্ষারই পূর্বাভাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ২৩:০২
Share:

দেবগৌড়ার জনতা দল এ বারের বিধানসভা ভোটে ২০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে বলে প্রায় সবক’টি বুথ ফেরত সমীক্ষারই পূর্বাভাস। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেস এবং বিজেপির তুমুল লড়াইয়ের মধ্যেই দক্ষিণ কর্নাটকের ‘পুরনো মাইসুরু’ এলাকায় নিজের ভোক্কালিগা জনগোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই অক্ষত রাখতে পারবেন তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) বা জেডিএস এ বারের বিধানসভা ভোটে ২০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে বলে প্রায় সবক’টি বুথ ফেরত সমীক্ষারই পূর্বাভাস।

Advertisement

আবার অধিকাংশ সমীক্ষাই পূর্বাভাস দিচ্ছে, কর্নাটক বিধানসভা ফের ত্রিশঙ্কু হতে পারে। অর্থাৎ ২২৪ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ১১৩-য় কেউই পৌঁছতে পারবে না। এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে তাঁর দলের ঝুলিতে ১০০-১১২ কেন্দ্র যেতে পারে। বিজেপি ৮৩-৯৫, জেডি (এস) ২১-২৯ এবং নির্দল ও অন্যেরা ২-৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে। অর্থাৎ ভোটের পরে ‘কিং মেকার’ হতে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

রাজ্যের ২২৪টি আসনের মধ্যে ২১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জেডিএস। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে দেবগৌড়ার দলের লক্ষ্য হল, নাগামঙ্গল, রামনগর, হাসান, মান্ডিয়া, মাইসুরু, টুমকুরের মতো ভোক্কালিগা অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকে অন্তত ৩০টি আসন সংগ্রহ করে সম্ভাব্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ‘কিংমেকার’ হওয়া। সমীক্ষা বলছে, তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনেও ত্রিশঙ্কু হয়েছিল কর্নাটক। সে বার ১০৪টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৮০ এবং দেবগৌড়ার দল ৩৭টিতে জেতে। কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সমঝোতা করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯-এর জুলাই মাসে দু’দলের দেড় ডজনেরও বেশি বিধায়ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।

এ বার বিধানসভা ভোটের আগেই দেবগৌড়ার দলে অন্তর্বিরোধ চরমে উঠেছিল। কুমারস্বামীর স্ত্রী গত দু’বারের বিধায়ক অনিতা এ বারও রামনগর কেন্দ্র থেকে লড়ার জন্য জেদ ধরেছিলেন। বাদ সাধেন মেজ ছেলে তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রেভান্নার স্ত্রী ভবানী। মেজ রেভান্না নিজে লড়ছেন হোলে নরসিনপুর আসনে। তাঁর এক ছেলে সাংসদ, আর এক ছেলে বিধান পরিষদের সদস্য। তবুও ভবানী জানিয়ে দেন, অনিতা লড়লে তিনিও হাসান কেন্দ্র থেকে লড়বেন। ফলে দ্বন্দ্ব বাড়ে দেবগৌড়া পরিবারে। দল ছাড়তে শুরু করেন বহু নেতা-কর্মী।

দুই পুত্রবধূর এই বিবাদ দলকে পথে বসাতে পারে বুঝে মাঠে নামেন শ্বশুরমশাই। দু’জনকেই জানিয়ে দেন, কাউকে টিকিট দেওয়া হবে না। ঠিক হয়, অনিতার কেন্দ্র রামনগর থেকে লড়বেন তাঁদের ছেলে নিখিল। পার্শ্ববর্তী চান্নাপটনা কেন্দ্র থেকে লড়বেন কুমারস্বামী। অনিতা না লড়ায় নিজের দাবি থেকে সরে আসেন ভবানীও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement