‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঐশ্বর্যার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল অজয় দেবগণের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই অজয় বুঝতে পেরেছিলেন ঐশ্বর্যার মনের পুরোটা জুড়ে ছিলেন সলমন খান।
নিজেই নববধূকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সলমনের সঙ্গে দেখা করার জন্য। নিজের স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবির প্রতিফলন দেখা গিয়েছে ২০২১ সালে। মাত্র ৩ মাসের বিয়ে করা স্ত্রীকে তাঁরই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চার হাত এক করালেন।
কানপুরের চকেরি থানার অন্তর্গত সানিগওয়ান গ্রাম সম্প্রতি এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সুজিত ওরফে গোলুর বিয়ে হয়েছিল পাশের গ্রাম শ্যাম নগরের মেয়ে শান্তির সঙ্গে।
ধূমধাম করে সমস্ত রীতি পালন করেই বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। বিয়ের পর স্বামীর ঘরে থাকতে শুরুও করেন শান্তি।
কিন্তু রীতি মেনে বিয়ের কয়েক দিন পর বাপের বাড়িতে আসার পর আর স্বামীর কাছে ফিরতে চাননি।
স্ত্রীকে অনেকবার বাড়ি ফিরিয়ে নিতে গিয়েছিলেন সুজিত। কিন্তু শান্তি রাজি হননি। কেন শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইছেন না তাও প্রথমে বলতে চাইছিলেন না।
অনেক চেষ্টার পর স্বামীর কাছে মুখ খোলেন শান্তি। জানান তাঁর মনের মানুষের কথা।
কী ভাবে বাড়ির লোকেরা তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়েছেন তাও স্বামীর কাছে পরিষ্কার করে বলেন তিনি।
সে দিনই প্রথম লখনউয়ের বাসিন্দা রবির কথা স্বামী সুজিতকে বলেন শান্তি। রবি শান্তির প্রেমিক।
স্ত্রীর মুখ থেকে এ কথা শোনার পর সুজিত তাঁদের প্রেমের পরিণতি দেওয়ার মনস্থির করে ফেলেন।
শান্তির বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে তিনি রবির খোঁজ শুরু করেন। তারপর স্ত্রীর বিয়ে দেন তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে।
‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সঙ্গে এর একটাই পার্থক্য। ছবিতে শেষ মুহূর্তে তাঁর প্রতি স্বামী অজয়ের ভালবাসা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন ঐশ্বর্যা। শেষে অজয়ের কাছেই ফিরে এসেছিলেন তিনি।
বাস্তবের ছবিটা অবশ্য একটু আলাদা। স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের কাছেই ফিরে যান শান্তি।