কনিষ্ক নারায়ণ। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন। তাতে হতাশ ভারতীয়দের একটা বড় অংশ। তবে উত্তর বিহারে চলছে উদ্যাপন। মুজফ্ফরপুরের ভূমিপুত্র কনিষ্ক নারায়ণ ব্রিটেনের এমপি হয়েছেন। প্রায় ১৪ বছর পর ব্রিটেনে ক্ষমতায় ফিরেছে লেবার পার্টি। কনিষ্ক সেই দলেরই সদস্য।
গ্লামরগানের ভাল থেকে জয়ী হয়েছেন ৩৩ বছরের কনিষ্ক। ব্রিটেনের আমলা ছিলেন তিনি। সিভিল সার্ভিসের সেই চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। বিহারের রাজধানী পটনা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মুজফ্ফরপুরে থাকত কনিষ্কের পরিবার। তাঁর কাকা জয়ন্ত কুমার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমাদের আবসনে সকলে দারুণ খুশি। অনেকেরই স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে ছোট কনিষ্ক।’’ শহরের একটি আইন কলেজের ডিরেক্টর জয়ন্ত। তাঁর ছোট ভাই সন্তোষের ছেলে কনিষ্ক। জয়ন্ত জানান, আইন আসলে তাঁদের রক্তে রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘লাগোয়া বৈশালী জেলার গোরাউল ব্লকে ছিল আমাদের আদি বাড়ি। আইনের প্রতি ঝোঁক আমাদের রক্তে রয়েছে। আমার বাবা কৃষ্ণ কুমার এই আইনের কলেজ স্থাপন করেছেন।’’ তিনি জানিয়েছেন, মুজফ্ফরপুরেই জন্ম কনিষ্কের। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। জয়ন্তর কথায়, ‘‘এখান থেকে দিল্লি চলে যান কনিষ্কের বাবা-মা। তাঁর যখন ১২ বছর বয়স, তখন তাঁরা কার্ডিফে চলে গিয়েছিলেন। কনিষ্কের বাবা সন্তোষ, মা চেতনা সিংহ, দু’জনেই ব্রিটেনে সলিসিটর হিসাবে কাজ করতেন।’’
জয়ন্তের আশা, নতুন সরকারের আমলে ভারত এবং ব্রিটেনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কারণ ভারত এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী পরিযায়ীদের প্রতি অনেকটাই নরম মনোভাব রয়েছে লেবার পার্টির। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, ব্রিটেনকে নিজের দ্বিতীয় ঘর মনে করেন তিনি। ওয়েলসে চার বছর ছাত্রজীবন কাটিয়েছিলেন। মেয়ে সেখানেই থিতু হয়েছেন। প্রায়ই যাতায়াত করেন মেয়ের বাড়ি।