HD Kumaraswamy

ভাষা বিতর্কে সরব কুমারস্বামী, চিঠি কানিমোঝির

কুমারস্বামীর বক্তব্য, কন্নড় ভাষাভাষী-সহ অন্য ভাষার মানুষদের হিন্দি না-জানার জন্য আর কত ত্যাগ করতে হবে?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০২:২৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ভাষা বিতর্কে অব্যাহত প্রতিবাদ। রবিবার এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। এ বার বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আযুষমন্ত্রী শ্রীপদ নাইককে চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর বিরোধী দল ডিএমকে-র প্রতিনিধি তথা লোকসভায় দলের উপনেতা কানিমোঝি।

Advertisement

সম্প্রতি আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা অনলাইনে আয়োজিত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জানিয়েছিলেন, হিন্দি ভাষা নিয়ে কারও যদি কোনও সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন তাঁরা। তার পরেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন বিভিন্ন দলের নেতৃবর্গ। জেডিএস নেতা কুমারস্বামী রবিবার জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এ এক লজ্জাজনক কৌশল।

কুমারস্বামীর বক্তব্য, কন্নড় ভাষাভাষী-সহ অন্য ভাষার মানুষদের হিন্দি না-জানার জন্য আর কত ত্যাগ করতে হবে? ভাষা বিতর্কে যে দেশে বিভাজনের বীজ প্রকট হয়ে উঠছে, তা-ও স্পষ্ট কুমারস্বামীর মন্তব্যে। টুইট করে তিনি জানান, সংবিধান অনুসারে প্রতিটি ভাষাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। দেশের ঐক্য রক্ষার্থে এ এক মন্ত্রের মতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দি না-জানার জন্য অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, অবিলম্বে কোটেচার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিষয়টি নিয়ে সরব ডিএমকেও। কেন্দ্রের কাছে তাদের দাবি, সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানেই ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হোক।

Advertisement

জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আয়ুষমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কানিমোঝির মন্তব্য, ‘‘আপনার কাছে আবেদন, আপনার মন্ত্রকের সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দিন, সমস্ত অনুষ্ঠানে যেন ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। কোথাও যদি হিন্দিভাষা ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে যেন ইংরেজি অনুবাদের বন্দোবস্ত থাকে।’’

কিছু দিন আগেই কানিমোঝি অভিযোগ জানান, বিমানবন্দরে এক সিআইএসএফ আধিকারিক ভারতীয়ত্ব প্রমাণে তাঁকে হিন্দিতে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, হিন্দি নিয়ে বহু সাংসদই সমস্যায় পড়েন। অধিকাংশ সাংসদই নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ। তাই এই সমস্যার সমাধানে ইংরেজিকেই ব্যবহার করা হোক। এর আগে নয়া শিক্ষানীতিতে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিল দক্ষিণী রাজ্যগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement