কানহাইয়া কুমার। ফাইল ছবি।
জল্পনা সত্যি করে কংগ্রেসেই যোগ দিলেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে পটনার সিপিআই দলীয় কার্যালয়ে নিজের ঘর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ক’দিন আগে ঘটা এই ঘটনায় বিহারে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক রামনরেশ পাণ্ডে বলেছিলেন, ‘‘আমরা আপত্তি করিনি। কারণ ওই এসি নিজের টাকায় বসিয়েছিলেন কানহাইয়া। সেটা খুলে নেওয়ায় আপত্তি করব কেন?’’
এই বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দেন। যদিও সিপিআই নেতৃত্ব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন কানহাইয়া কংগ্রেসে যাবেন না। কানহাইয়া যোগ দেওয়ার আগের মুহূর্তেও রামনরেশ যেমন বলছিলেন, ‘‘আমি এখনও আশাবাদী কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাবেন। কারণ কানহাইয়া একজন বামপন্থী মানসিকতার মানুষ। এবং এই ধরনের মানুষ নিজের মতে অটল থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক।’’ কিন্তু বাস্তব হল মঙ্গলবার বিকেলে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসের হাতই ধরেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর পড়ুয়া সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া।
দল ছাড়ার সময় কানহাইয়া সিপিআই-এর জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। পার্টি কাঠামোয় যা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সমিতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দলবদলের উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে সিপিআই দফতর থেকে এসি খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল, মঙ্গলবার কানহাইয়ার সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী। কানহাইয়ার যোগদান সভাতেও তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু পরে জানা যায়, জিগ্নেশ কংগ্রেসে যোগ দেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারিনি। কারণ, আমি একজন নির্দল বিধায়ক। যদি আমি কোনও দলে যোগ দিই, তাহলে আমার বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে। আমি আদর্শগত ভাবে কংগ্রেসেই আছি। আগামী বিধানসভা ভোটে আমি কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে লড়ব।’’