বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ‘অভিশাপে’ই কি সঙ্কটে পড়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের জোট সরকার? কঙ্গনার বিরুদ্ধে উদ্ধবের পুরনো ‘কর্মে’র ফলেই কি মহা বিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। কঙ্গনার পুরনো একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই উদ্ধবকে তাঁর পুরনো ‘কর্মে’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নেটব্যবহারকারীদের একাংশ। উদ্ধবের এই ‘মহা-সঙ্কটে’ তাঁদের দাবি, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি— যেমন কর্ম, তেমন ফল!
২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে মুম্বইয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কঙ্গনার অফিসঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। ঘটনাচক্রে, বিএমসি-র ওই পদক্ষেপের আগেই শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে টুইট-তরজায় জড়িয়ে পড়েন কঙ্গনা। সে সময় উদ্ধবের বিরুদ্ধে টুইটারে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন কঙ্গনা। নেটমাধ্যমে তেমন কয়েকটি পুরনো ভিডিয়ো এবং টুইট ভাইরাল হয়েছে। সে সময়কার একটি ভিডিয়োয় কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরে, তুমি ভেবেছ সিনেমা (জগতের) মাফিয়াদের সঙ্গে মিলে আমার ঘর ভেঙে প্রতিশোধ নিয়ে নিলে? আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোমার অহঙ্কার চূর্ণ হবে।’’
কঙ্গনার এই ‘অভিশাপে’র কথা তুলে এক নেটব্যবহারকারীর দাবি, ‘অন্যের সঙ্গে যা ব্যবহার করা হয়, সে ফলই মেলে। একেই বলে কর্মফল!’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিয়েছেন মহা বিকাশ অগাড়ি এবং উদ্ধব ঠাকরের নাম। অন্য এক জনের দাবি, ‘উদ্ধব ঠাকরে’জি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেননি।’
আর এক জনের মন্তব্য, ‘মহাভারতে যা হয়েছিল, তেমনই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তিনি (কঙ্গনা)।’ সঙ্গে কঙ্গনার একটি ভিডিয়ো জুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাতে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমাদের ইতিহাসে দেখে নিন, যখনই কেউ কোনও নারীকে অপমান করেছেন, অনিবার্য ভাবে তাঁর পতন হয়েছে।’’ এর পর মহাভারতের তুলনা টেনে এনে দাবি করেছেন, তাঁকে উদ্ধব সরকারের হাতে অপমানিত হতে হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।