মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। ছবি: সংগৃহীত।
তারকা প্রচারকের তকমা কেড়ে নেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। এ নিয়ে শনিবার শীর্ষ আদালতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু করারও আবেদন করেছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা কমল নাথের আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সদস্য বিবেক তনখা জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর মক্কেল।
মধ্যপ্রদেশে ২৮টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩ নভেম্বর। ১০ নভেম্বর তার ফলাফল ঘোষণা হবে। তার আগে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি-র নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ইমরতী দেবীকে ‘আইটেম’ বলেছিলেন কমল নাথ। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়। এই আবহে আরও বিতর্ক বাড়িয়েছেন ইমরতী দেবী। কমল নাথের মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে তাঁর মা এবং বোনকে ‘বাংলার আইটেম’ বলে বসেন তিনি। এই আবহে কমল নাথকে বিঁধে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা শুরু করে বিজেপি। পাশাপাশি, জাতীয় মহিলা কমিশন-সহ নির্বাচন কমিশনেও তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করে গেরুয়া শিবির। এমনকি, এই মন্তব্য নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীরও নিন্দার মুখে পড়েন কমল নাথ। যদিও কমল নাথের দাবি, তিনি অশ্রদ্ধা করে ওই মন্তব্য করেননি। তবে সে কথায় কাজ হয়নি। বরং কমিশনের মতে, ওই মন্তব্য করে ‘নৈতিক ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ’ লঙ্ঘন করেছেন কংগ্রেস নেতা। এর পর নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে শুক্রবার কমল নাথের তারকা প্রচারকের তকমা কেড়ে নেয় কমিশন। ওই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ আজ শীর্ষ আদালতে গেলেন কমল নাথ।
আরও পড়ুন: বিধিভঙ্গ হয়নি, বিহারে বিজেপির টিকা প্রতিশ্রুতিকে ক্লিনচিট কমিশনের
আরও পড়ুন: কিসের জন্য ক্ষমা চাইব? মোদীর পুলওয়ামা মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া তারুরের
বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তা নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে কমল নাথ বলেন, “বহু বছর লোকসভার সদস্য ছিলাম। সেখানে এজেন্ডা শিটে উল্লেখ করা থাকে, আইটেম নম্বর ১, আইটেম নম্বর ২… সেটাই মাথায় ছিল। কোনও ব্যক্তিকে অশ্রদ্ধা করে কিছু বলিনি। তবে যদি কেউ অপমানিত বোধ করেন, তবে আমি খেদ প্রকাশ করছি।”