মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালের যৌন কেলেঙ্কারি-কাণ্ডের ভিডিয়ো রয়েছে এমন একটি পেন ড্রাইভ তাঁর কাছে রয়েছে। দিন কয়েক আগে এমনটাই দাবি করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। এ বার কমলের কাছে থেকে সেই পেন ড্রাইভটি চেয়ে পাঠাল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। রবিবার এই মর্মে কমলকে নোটিস পাঠিয়েছে সিট। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে সেটি জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ২১ মে একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে পেন ড্রাইভের কথা বলে শোরগোল ফেলে দেন কমল। এর পরই ওই কেলেঙ্কারির বিষয়টি ফের শিরোনামে উঠে আসে। ‘হানি ট্র্যাপ’ কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত ওই কাণ্ডে রাজ্যের বহু রাজনীতিক এবং শীর্ষ আমলা জড়িত বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কমলের জমানাতেই ৫ মহিলা-সহ ৬ জনের গ্রেফতারির পর ওই কেলেঙ্কারির কথা প্রথম বার প্রকাশ্য আসে। অভিযোগ, প্রাথমিক তদন্তের পর রাজনীতিক, আমলাদের জড়িয়ে ১ হাজারেরও বেশি সেক্স চ্যাট, অশ্লীল অডিয়ো-ভিডিয়োর সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁদের অজ্ঞাতেই সেগুলি রেকর্ড করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ওই অডিয়ো-ভিডিয়োগুলির সাহায্যে অভিযুক্তরা রাজনীতিক, আমলাদের ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলেও দাবি। যদিও আজ পর্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করা হয়নি বা তাঁদের নামও প্রকাশ্যে আসেনি।
তদন্ত চলাকালীন শ্বেতা জৈন নামে এক অন্যতম অভিযুক্তের দাবি ছিল, কম পক্ষে ২৪ জন নিম্নবিত্ত পরিবারের কলেজছাত্রীদের এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত রাজনীতিক, আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্বেতার আরও দাবি, ওই প্রভাবশালীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা ছাড়াও মূলত কোটি কোটি টাকার অর্থমূল্যের সরকারি প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই অপারেশন চালানো হয়েছিল।