সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার দায়িত্বে ছিলেন বিশেষ সিবিআই বিচারক ব্রিজগোপাল লোয়া। তাঁর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে আজ ‘গুরুতর’ আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের যে আবেদন আদালতে জমা পড়েছে, তা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের কী অবস্থান, তা-ও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি এর শুনানির দায়িত্ব দেন বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চকে। তাতেই আবার আজ চার প্রবীণ বিচারপতি আপত্তি তোলেন। প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে বুঝিয়েও লাভ হয়নি।
তবে লোয়ার মৃত্যুর মামলায় বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি এম এম শান্তানাগৌদারের বেঞ্চ মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী নিশান্ত আর কাটনেশ্বরকরকে জানিয়েছে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের অবস্থান জানাতে। পাশাপাশি বিচারক লোয়ার মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং অন্য প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাটনেশ্বরকরকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেআদালত।
বম্বে লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দবে বলেছেন, ‘‘বম্বে হাইকোর্টে বিষয়টি মিটে গিয়েছে। তাই আমার মতে, সুপ্রিম কোর্টে আর এ নিয়ে শুনানি হওয়া উচিত নয়। তবুও শীর্ষ আদালত যদি এ বিষয়ে এগোয়, তার প্রভাব পড়বে হাইকোর্টেও।
লোয়ার মৃত্যু নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের সাংবাদিক বি আর লোনে। তাঁর আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিংহ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, এ বিষয়টির শুনানি শীর্ষ আদালতে হবে না, এমন কথা বম্বে লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন তাঁকেও জানিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ অবশ্য বলেছে, আবেদন শোনা হবে। তবে শুনানি সংক্রান্ত আপত্তিতেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তেহসিন পুণাওয়ালা নামে আর এক কংগ্রেস নেতা যিনি রবার্ট বঢরার ভগ্নিপতি। তাঁর হয়ে লড়ছেন আইনজীবী বারীন্দ্রকুমার শর্মা। তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালে ১ ডিসেম্বর এক বিচারক রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন। তার তদন্ত তো করতেই হবে।’’ এক সহকর্মীর মেয়ের বিয়েতে নাগপুরে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল লোয়ার।
সোহরাবুদ্দিন মামলায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর নামও জড়িত।