Chidambaram

টাকা ফেরালে কি চিনা দখলদারি হটাবেন? মোদীকে খোঁচা চিদম্বরমের

বিদেশি অনুদান আইন (এফসিআরএ) মেনেই এ ক্ষেত্রে অডিট সংক্রান্ত নথিপত্র সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। সরকার তা মেনেও নিয়েছে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ১৭:২৩
Share:

বিজেপিকে তোপ পি চিদম্বরমের।— ফাইল চিত্র।

রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে ‘অনুদানের উৎস’ নিয়ে বিজেপির ধারাবাহিক আক্রমণের জবাব দিলেন পি চিদম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা অর্থমন্ত্রী বলেন, সভাপতি জে পি নড্ডা-সহ বিজেপি নেতারা অর্ধসত্য কথা বলছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রকে তাঁর খোঁচা, ‘‘ধরুন রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন ২০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিল। নরেন্দ্র মোদী সরকার কি তখন লাদাখে চিনা দখলদারি হটিয়ে স্থিতাবস্থা ফেরানোর বিষয়ে দেশকে আশ্বস্ত করবে?’’ কংগ্রেসের ‘স্পিক ফর আওয়ার জওয়ান’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এদিন গালওয়ান উপত্যকায় বানানো চিনা ঘাঁটির উপগ্রহ চিত্রও টুইট করেন চিদম্বরম।

Advertisement

নড্ডা অভিয়োগ তুলেছেন, ২০০৫-’০৬-এ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে কংগ্রেসের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন ২০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। পাশাপাশি বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ, ওই অর্থবর্ষেই নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাস থেকে সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন ওই ফাউন্ডেশন ৯০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছে। পরে একই অভিযোগ করেন নড্ডাও।

এ প্রসঙ্গে শনিবার সকালে চিদম্বরমের টুইট, ‘‘সুনামি বিধ্বস্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজের জন্যই প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২০০৫ সালে টাকা পেয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন। বিজেপি সভাপতি সবকিছু জেনেও অর্ধসত্য বলছেন।’’ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের ভয়াবহ সুনামি পর্বের পরে বহু অ-সরকারি সংস্থাকেই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনও ছিল সেই তালিকায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার সামনে আত্মসমর্পণ মোদীর, অভিযোগ রাহুলের

আর চিনের অর্থ-সাহায্য? শুক্রবার রাতেই এ প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, ‘‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থাগুলির কাজ এবং অনুদান পাওয়ার পদ্ধতি সকলেরই জানা। বিদেশি অনুদান আইন (এফসিআরএ) মেনেই এ ক্ষেত্রে অডিট সংক্রান্ত নথিপত্র সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। সরকার তা মেনেও নিয়েছে। বিষয়টি এখানেই শেষ।’’ কংগ্রেসের তরফেও ইতিমধ্যেই সরকারি নিয়ম চিন থেকে অনুদান পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এআইসিসি’র মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী কল্যাণ এবং ভারত-চিন সম্পর্ক সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ওই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে ‘অনুদানের উৎস’ নিয়ে বিজেপির ধারাবাহিক আক্রমণের জবাব দিলেন পি চিদম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা অর্থমন্ত্রী বলেন, সভাপতি জে পি নড্ডা-সহ বিজেপি নেতারা অর্ধসত্য কথা বলছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রকে তাঁর খোঁচা, ‘‘ধরুন রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন ২০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিল। নরেন্দ্র মোদী সরকার কি তখন লাদাখে চিনা দখলদারি হটিয়ে স্থিতাবস্থা ফেরানোর বিষয়ে দেশকে আশ্বস্ত করবে?’’ কংগ্রেসের ‘স্পিক আপ ফর আওয়ার জওয়ানস’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এদিন গালওয়ান উপত্যকায় বানানো চিনা ঘাঁটির উপগ্রহ চিত্রও টুইট করেন চিদম্বরম।

এ প্রসঙ্গে শনিবার সকালে চিদম্বরমের টুইট, ‘‘সুনামি বিধ্বস্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজের জন্যই প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২০০৫ সালে টাকা পেয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন। বিজেপি সভাপতি সবকিছু জেনেও অর্ধসত্য বলছেন।’’ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের ভয়াবহ সুনামি পর্বের পরে বহু অ-সরকারি সংস্থাকেই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনও ছিল সেই তালিকায়।

আর চিনের অর্থ-সাহায্য? শুক্রবার রাতেই এ প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, ‘‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থাগুলির কাজ এবং অনুদান পাওয়ার পদ্ধতি সকলেরই জানা। বিদেশি অনুদান আইন (এফসিআরএ) মেনেই এ ক্ষেত্রে অডিট সংক্রান্ত নথিপত্র সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। সরকার তা মেনেও নিয়েছে। বিষয়টি এখানেই শেষ।’’ কংগ্রেসের তরফেও ইতিমধ্যেই সরকারি নিয়ম চিন থেকে অনুদান পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এআইসিসি’র মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী কল্যাণ এবং ভারত-চিন সম্পর্ক সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ওই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

চিদম্বরমের এদিন টুইট-প্রশ্ন, ‘’১৫ বছর আগে রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের পাওয়া অনুদানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ এবং হামলার কী সম্পর্ক?’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, লাদাখে চিনা হানাদারি থেকে নজর ঘোরাতেই ফাউন্ডেশনের নাম টেনে জলঘোলা করতে চাইছে বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement