মল্লিকা নড্ডা
অমিত শাহকে তা-ও বাংলা শিখতে হচ্ছিল। জগৎপ্রকাশ নড্ডা আগে থেকেই ভাঙা ভাঙা বাংলা বলতে পারেন। সৌজন্যে তাঁর স্ত্রী মল্লিকা।
মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাঙালি পরিবারের মেয়ে মল্লিকা। মা জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় জবলপুর থেকেই লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন। আঠাশ বছর আগে বিদ্যার্থী পরিষদে থাকার সময়েই উভয়ের সাক্ষাৎ, বিয়ে। দুই ছেলেকে নিয়ে মল্লিকা কালই হিমাচল থেকে পৌঁছন দিল্লিতে। আজ সকালেই বললেন, ‘‘আজ খুব খুশির দিন। পুরো পরিবার, হিমাচলের জন্যেও। ছোট একটি রাজ্য থেকে আসা নেতাকে অনেক বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
নড্ডা হিমাচলের নেতা হলেও তাঁর পড়াশোনা, ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি বিহারে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দলের দফতরে এসে যা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর নড্ডার কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ দিল্লি, তার পর বিহার। কিন্তু নড্ডার নিজের কথাতেই, ‘‘পশ্চিমবঙ্গও আমাদের নিশানা।’’
আরও পড়ুন: নড্ডাকে হেঁচকা টানে আসনে বসালেন অমিত
নতুন সভাপতির রোডম্যাপ কী হবে, তা নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে অমিত শাহ ও নড্ডার মধ্যে। আর আজ নির্বিরোধ জিতে আসার পর নড্ডাকে দায়িত্ব সঁপে অমিত স্মরণ করিয়ে দেন দলের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই। অমিত বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছি, আগে যা নিয়ে স্বপ্নও দেখতে পারিনি। তবে অনেক এলাকা বাকি রয়েছে, যেখানে ভোটের সাফল্য মেলেনি। বুথ পর্যন্ত পৌঁছনোও যায়নি। কর্মীদের আহ্বান করছি, মোদী-নড্ডার নেতৃত্বে পরিশ্রমের জন্য নিজেদের তৈরি করি।’’
একই ভাবে সুর বাঁধলেন নড্ডাও। বললেন, ‘‘অমিত শাহ বলেছেন, এখনও সেরাটা দেখা বাকি। আমার যত শক্তি রয়েছে, দিনরাত পরিশ্রম করে সেই উচ্চতায় পৌঁছব। কিন্তু রাজ্যে জয় এখনও বাকি। সেগুলিও আমাদের নিশানায় রয়েছে। আগামী দিনে সারা ভারতে পদ্মফুল পৌঁছে দেব, সেই ভরসা দিতে চাইছি।’’ বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল অমিত শাহের বহু দিনের লক্ষ্য। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সবথেকে বেশি বিতর্ক সে রাজ্যেই। এখন সভাপতি পদে না-থাকলেও বঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত ভাবে খোঁজখবর নেবেন শাহ। ভোট যত এগিয়ে আসবে, তাঁর পশ্চিমবঙ্গ সফরও বাড়তে পারে।’’
দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিন্হারাও আজ বিজেপির সদর দফতরে ছিলেন। বঙ্গের পক্ষ থেকেও নড্ডার মনোনয়নের প্রস্তাব করা হয়।