ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর প্রেস ক্লাব সভা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে প্রতিবাদ বার্তা পাঠিয়েছেন উপত্যকার সমস্ত সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব। কিন্তু তার পরেও পুলিশি হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না সাংবাদিকদেরা। রবিবার রাতে এমন ঘটনার শিকার হলেন একটি নিউজ় পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিক কামরান ইউসুফ। এর আগে ২০১৮-তেও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। কয়েক দিন আটক রাখার পরে ছেড়ে দেয় জামিনে।
কামরান ইউসুফ জানিয়েছেন, রবিবার রাত বাড়ার পরে হঠাৎই এক দল পুলিশ এসে তাঁ পুলওয়ামার বাড়ি ঘিরে ফেলে। রাত ১১টার সময়ে এক রকম জোর করেই বাড়িতে ঢোকেন এক ডিএসপি এবং স্থানীয় থানার এসএইচও। তাঁর ফোনটি কেড়ে নিয়ে বলা হয়, সঙ্গে যেতে হবে। এর পরে কামরানকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ডিএসপি-র দফতরে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। কামরান জানিয়েছেন, তাঁর সামনেই ফোনটি নিয়ে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করা হয়। বলা হয়, কামরান মনজুর মানে এক জনের টুইটার অ্যাকাউন্ট তিনি চালাচ্ছেন বলে পুলিশের ধারণা। সেটা পরীক্ষার জন্যই তাঁকে তুলে আনা হয়েছে। কামরান ইউসুফ জানিয়েছেন, প্রায় ঘণ্টা দুয়েক এই পর্বের পরে পুলিশ বুঝতে পারে তাঁদের ধারণা ঠিক নয়। এর পরে তাঁকে গাড়িতে চড়িয়ে বাড়ির কাছাকাছি নামিয়ে দেওয়া হয়। রাত তখন একটা বেজে গিয়েছে। পথ চেয়ে উদ্বিগ্ন স্বজন কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা দ্রুত কামরানকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান।
আজই কাশ্মীর প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হুরিয়ত কনফারেন্সের নবতিপর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ভাল আছেন এবং চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা হয়। পুলিশের দাবি, গত সপ্তাহে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ওই মিথ্যা বার্তাটি ছড়ানো হয়েছিল।