জম্মু-কাশ্মীরে প্রহরায় সেনা । ছবি: পিটিআই।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ত্রালের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় ‘আটক’ করা হয়েছিল বছর ছাব্বিশের সাংবাদিক ইরফান আমিন মালিককে। শুক্রবার তাঁকে বন্ড লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের মুখপাত্র রোহিত কনসল।
কিন্তু কেন তাঁকে আটক করা হয়েছিল, কেন বন্ড লিখিয়ে নেওয়া হল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় সাংবাদিকের পরিবার। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ পর্ব শুরুর পর থেকে পাঁচশোরও বেশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হলেও, উপত্যকায় সাংবাদিক আটকের ঘটনা এই প্রথম।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে ত্রাল থানায় গিয়ে ছেলের আটক হওয়ার খবর পান ইরফানের পরিবার। কিন্তু পুলিশের তরফে আটকের কারণ জানানো হয়নি। পরে তাঁরা অবন্তীপোরার এসপি তাহির সালিমের সঙ্গেও দেখা করেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। পরিবারের দাবি, উপত্যকায় সাম্প্রতিক অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরফান খবরও করেননি। ইরফান যে দৈনিকে কাজ করেন, সেটির মুখ্য সম্পাদক এবং প্রকাশককে জুলাইয়ের গোড়ায় এনআইএ ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বলে সূত্রের খবর। তার কারণও অজ্ঞাত।