China

চিনের হয়ে চরবৃত্তিতে অভিযুক্ত সাংবাদিক

সঞ্জীব জানিয়েছেন, রাজীব শর্মা বিভিন্ন সংবাদপত্রে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০১০ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পুলিশের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে ‘মাইকেল’ নামে এক চিনা গোয়েন্দা অফিসার। পরে চিন সফরে যান রাজীব। মাইকেলই সেই সফরের খরচ দেয়। পুলিশের অভিযোগ, সেখানে রাজীবকে প্রচুর অর্থের টোপ দেওয়া হয়। 

Advertisement

   সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

সাংবাদিক রাজীব শর্মার বিরুদ্ধে ভারতের সীমান্তরক্ষার কৌশল ও সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত তথ্য চিনকে সরবরাহ করার অভিযোগ আনল দিল্লি পুলিশ।গত কাল রাজীবকে সরকারি গোপনীয়তা রক্ষার আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা জানায়, তাঁর কাছ থেকে কিছু গোপনীয় নথি উদ্ধার করা হয়েছে।আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জীব যাদব দাবি করেন, রাজীব ২০১৬ সাল থেকে চিনা গুপ্তচরদের তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক চিনা মহিলা ও সেই মহিলার সহযোগী এক নেপালিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঞ্জীবের দাবি, দিল্লির মহীপালপুরে ভুয়ো সংস্থা খোলা হয়েছিল। ওই মহিলা ও তাঁর সহযোগী সেই সংস্থার পরিচালক ছিলেন। চিনে ওষুধ রফতানির বদলে সেখান থেকে বিপুল অর্থ পেতেন তাঁরা। তা ভারতে বিভিন্ন চরকে দেওয়া হত।

Advertisement

সঞ্জীব জানিয়েছেন, রাজীব শর্মা বিভিন্ন সংবাদপত্রে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০১০ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পুলিশের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে ‘মাইকেল’ নামে এক চিনা গোয়েন্দা অফিসার। পরে চিন সফরে যান রাজীব। মাইকেলই সেই সফরের খরচ দেয়। পুলিশের অভিযোগ, সেখানে রাজীবকে প্রচুর অর্থের টোপ দেওয়া হয়।

পুলিশের দাবি, ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাইকেলকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য সরবরাহ করেন রাজীব। ‘প্রেস ইনফরমেশন বুরো’র দেওয়া পরিচয়পত্র থাকায় তিনি সহজেই সব মন্ত্রকে যাতায়াত করতে পারতেন। ২০১৯ সালে আবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আর এক চিনা গোয়েন্দা অফিসার ‘জর্জ’। পুলিশের অভিযোগ, দেড় বছরে চিনাদের কাছ থেকে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন রাজীব। তিনি চিনের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ নিবন্ধও লিখতেন। কিন্তু কী গোপন তথ্য চিনকে সরবরাহ করেছেন রাজীব? পুলিশের বক্তব্য, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ইমেল আইডি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা থেকেই এ নিয়ে অনেক তথ্য জানা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement