Sharjeel Imam

Sharjeel Imam: জামিন পেলেও জেলেই শরজিল

শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয়-জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে উস্কানি দেওয়া এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১ ০৭:১২
Share:

শরজিল ইমাম। —ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ধৃত শরজিল ইমামের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে দিল্লির হিংসার ঘটনায় ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত হওয়ায় জেলেই থাকতে হচ্ছে জেএনইউয়ের ওই পড়ুয়াকে।

Advertisement

২০২০ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভায় শরজিল ছিলেন। তাঁর বক্তব্য ঘিরে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়। গ্রেফতার করা হয় দিল্লির জেএনইউ-র ওই পড়ুয়াকে। কাল ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিংহের বেঞ্চে ওই মামলায় শরজিলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয়-জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে উস্কানি দেওয়া এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টার। তাঁর আইনজীবী আহমদ ইব্রাহিম আদালতে দাবি করেন, মক্কেল শান্তিপ্রিয় নাগরিক; কোনও বিক্ষোভের সময় হিংসায় যুক্ত ছিলেন না। তাঁর কোনও বক্তব্যের লক্ষ্যই আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি করা ছিল না। ছিল না হিংসায় মদত দেওয়া বা সমাজের কোনও ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যও।

Advertisement

এ দিকে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় ইউএপিএ মামলায় আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে শরজিলকে। ২২ অক্টোবর সাকেতের আদালত উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেনি। জামিয়ার কাছে নাগরিকত্ব-আইন বিরোধী বিক্ষোভে হিংসার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে শরজিলের যুক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ ‘‘অপ্রতুল ও অসম্পূর্ণ’’ বলে উল্লেখ করলেও বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিয়ায় শরজিলের ভাষণ সাম্প্রদায়িক ঐক্য দুর্বল করে দিতে পারে।

শরজিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি, মণিপুর, অসম ও অরুণাচলপ্রদেশে। অসম ও অরুণাচলের মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। এ দিকে, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক সংগঠন অভিযোগ তুলে আসছে, ২০২০-সালের ফেব্রুয়ারিতে হিংসার ঘটনায় পদক্ষেপ করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে নাগরিকত্ব-আইন বিরোধী প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চোখ-কান বন্ধ রাখা হয়েছে একই সময়ে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা গেরুয়া শিবিরের লোকজনের ক্ষেত্রে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement